লালমনিরহাটে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দলের কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের হলে বানিয়াপট্টি এলাকায় তার পক্ষের লোকেরা মিছিলে অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এখনো শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবার সংঘর্ষ হতে পারে।
লালমনিরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আলোরুপা মোড় এলাকায় ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বোন ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছেন। তার সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আজ দুপুরে শহরে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার অনুসারীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল।’
তবে এসব অভিযোগ অসত্য দাবি করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর বলেন, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বোনের বাড়িতে হামলার সঙ্গে জড়িত নই। তারপরও আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
‘আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের পক্ষে সুমন খান নামে শহরের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তার লোকজন আমাদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায়’, বলেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে পুনরায় সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। শহরের থানা রোড, বানিয়াপট্টি, বাটামোড়, রেল বাজার, গোশালা রোড ও জনতা মোড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
Comments