রাজধানীর ১৭ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ থানা
সরকারি তথ্যে প্রকাশ, রাজধানী শহরের অন্তত ১৭টি থানা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সারা দেশে সংক্রমণের গড় হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ হলেও রাজধানীর অন্তত ১৭টি স্থানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি পাওয়া গিয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরও ২৩টি এলাকায় সংক্রমণের হার ২০ শতাংশেরও বেশি।
কর্মকর্তাদের মতে, সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি থাকা মানে সেখানে উচ্চ পর্যায়ের ঝুঁকি রয়েছে এবং ২০ শতাংশের বেশি থাকা মানে তা মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে রয়েছে, যেটি যেকোনো সময় উচ্চ ঝুঁকিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
গত ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার উভয় সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এর বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর এলাকাবাসীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তার সত্যতা যাচাই করা হয়েছে।
আইইডিসিআর’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ঢাকার রূপনগর ও আদাবর থানা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে সংক্রমণের হার যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৪ শতাংশ।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন চালু করা খুবই কঠিন। কিন্তু, আমাদের হাতে টোলারবাগ ও রাজাবাজারের উদাহরণ দুটি আছে। সেখানে এ প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছিল।’
আইইডিসিআর’র একজন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুশতাক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তথ্যগুলো দেখার পর আমার অভিমত হচ্ছে কর্তৃপক্ষের উচিৎ সেসব এলাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে প্রতিরোধ করার জন্য সে এলাকার জনগোষ্ঠীর চলাফেরাকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি মনে করেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এই তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করতে পারেন।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ১৪ হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ১০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ছিল ৩৬ শতাংশ।
অপরদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৩৬ হাজার ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দশ হাজার ৪৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সেখানে সংক্রমণের হার ২৯ শতাংশ।
এছাড়াও, ৩০ শতাংশের চেয়ে বেশি সংক্রমণের হার পাওয়া গিয়েছে রূপনগর, আদাবর, শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুস সালাম ও খিলগাঁও এলাকায়।
২০ শতাংশের চেয়েও বেশি সংক্রমণের হার পাওয়া গিয়েছে শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, দক্ষিণখান, শেরেবাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, খিলক্ষেত, কদমতলী ও পল্টন এলাকায়।
সারা দেশে গতকাল সংক্রমণের হার ছিল ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং গড় সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
আজ ৭৭ জন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই
আজ মৃত্যু সর্বোচ্চ ৭৪ শনাক্ত ৬৮৫৪
রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড: আজ শনাক্ত ৭৬২৬ মৃত্যু ৬৩
আজ রেকর্ড শনাক্ত ৭২১৩, মৃত্যুও সর্বোচ্চ ৬৬
আজও শনাক্ত ৭ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫২
একদিনে শনাক্ত ৭ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫৩
আজ শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ মৃত্যু ৫৮
আজও সর্বোচ্চ শনাক্ত ৬৮৩০ মৃত্যু ৫০
আজও রেকর্ড শনাক্ত ৬৪৬৯, মৃত্যু ৫৯
একদিনে দেশে রেকর্ড শনাক্ত ৫৩৫৮ মৃত্যু ৫২
আজও শনাক্ত ৫ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৪৫
একদিনে দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৫১৮১ মৃত্যু ৪৫
একদিনে শনাক্তের হার ১৭.৬৫ গতকালের চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ বেশি, মৃত্যু ৩৫
সাড়ে তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৯ শনাক্তের হার ১৪.৯০
আজ টানা চতুর্থ দিন শনাক্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৩৩
তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৪ শনাক্তের হার ১৩.২৬
প্রায় ৯ মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৫৬৭, মৃত্যু ২৫
Comments