১৪-২১ এপ্রিল: নতুন বিধি-নিষেধে যেভাবে চলার নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। এই সময়ে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। এই সময়ে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল করিমের সই করা ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সময়ের জন্যে বিধি-নিষেধগুলো আরোপ করা হলো। বিধি-নিষেধগুলো হলো—

ক. সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে, বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

খ. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

গ. সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে, পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

ঘ. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

ঙ. আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন: কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকাদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্র) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

চ. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে, টিকা-কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা নেওয়ার জন্যে যাতায়াত করা যাবে।

ছ. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রি বা সরবরাহ করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।

জ. কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা ও বিক্রি করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

ঝ. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষিশ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

ঞ. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে। 

ট. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবেন।

ঠ. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেবে।

ড. উপযুক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা দিতে পারবে।

আরও পড়ুন:

১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা: সেতুমন্ত্রী

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিষেধাজ্ঞা: যা করা যাবে, যা করা যাবে না

৯-১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান-শপিংমল খোলা

৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ১১ সিটি করপোরেশন এলাকায় কাল থেকে গণপরিবহন চলবে

লকডাউনের ঘোষণায় ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড়

গণপরিবহন বন্ধ, বিকল্প পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া

রাজশাহীর বেশিরভাগ দোকান খোলা

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের অপেক্ষায় মানুষের ভিড়

বাসে আসন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া সিএনজি-রিকশায়

Comments

The Daily Star  | English
dmp cases

33 DMP OCs to be transferred in first phase

At least 33 officers-in-charge (OC) of Dhaka Metropolitan Police are going to be transferred following an Election Commission directive, DMP said today

Now