শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময়ে উৎপাদনে থাকা সব শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
তিনি আজ সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের সারাদেশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ২৩ কমিটিকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।’
দেশ ও জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি শ্রমিকদের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হবে।’
এসময় করোনাকালীন কর্মহীন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া আর্থিক সহায়তার সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। একইসঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ তৎপর হতে হবে।’
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে ছুটির বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরও একটি সভা আহ্বান করা হবে বলে জানান তিনি।
আজকের সভায় মালিক প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। অপরদিকে, শ্রমিক প্রতিনিধিরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের কারখানায় আনা-নেওয়া, শিফটিং ডিউটি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই’র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক লীগ আঞ্চলিক শাখা নারায়ণগঞ্জের সভাপতি কাউসার আহমেদ পলাশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের সাতটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Comments