রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ ভারতে অনুমোদনের সম্ভাবনা
রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ ভারতে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি। চুড়ান্ত অনুমোদন পেলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পর এটি হবে ভারতে ব্যবহার করা তৃতীয় করোনা ভ্যাকসিন।
আজ সোমবার এনডিটিভি জানায়, ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি) এ টিকার সুপারিশ করেছে। এখন দেশটির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে হবে।
ভারতে স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডা. রেড্ডি'স। ভারতে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে ভ্যাকসিনটির। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে।
মডার্না ও ফাইজারের পর স্পুটনিকের ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। ট্রায়ালে এ ভ্যাকসিনের ৯১ দশমিক ছয় শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
গত ১ এপ্রিল বিশেষজ্ঞ কমিটির শেষ বৈঠকে এ টিকা দেওয়ার পর ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ তৈরিতে কী ধরনের ক্রিয়া হয় তার তথ্য জমা দিতে বলা হয় ডা. রেড্ডি’সকে। এ ছাড়া, ভারত ও রাশিয়ায় চলা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণও চাওয়া হয়।
ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সী প্রায় এক হাজার ৬০০ জনের ওপর স্পুটনিক ফাইভের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। ট্রায়াল চালাতে ডা. রেড্ডি'স গত বছর সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে।
রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টিটিউটের এই টিকার প্রতি ডোজ কিনতে আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ ডলারের কম ব্যয় হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে স্পুটনিক ফাইভ সংরক্ষণ করা যাবে।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ বছর অক্টোবরের মধ্যে ভারতে আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন ব্যবহার হবে। অন্যান্যগুলো হলো—জনসন অ্যান্ড জনসন, জাইডাস ক্যাডিলা, সেরামের নোভাভ্যাক্স ও ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন-
Comments