মামুনুলের পক্ষ-বিপক্ষ, কুষ্টিয়ায় আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২৫

অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
Kushtia.jpg
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে।

আজ সোমবার সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরিমধ্যে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে নরেন্দ্র মোদির সন্তান বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।

স্থানীয়রা আরও জানান, আহতদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, আহত আরও ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ‘আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।’

অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি, তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দেয় আজিজুল হকের লোকজন ও তার লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারই সংঘর্ষেও মুল কারণ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago