মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা: সরকারি ২ প্রতিষ্ঠানের দুইরকম তথ্য

মৌলভীবাজারে করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে দুই রকমের তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিস্তর। করোনা বিষয়ক সরকারি তথ্যে ভরসা রাখতে পারছেন না কেউ।
Moulvibazar
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মৌলভীবাজারে করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে দুই রকমের তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিস্তর। করোনা বিষয়ক সরকারি তথ্যে ভরসা রাখতে পারছেন না কেউ। 

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, মৌলভীবাজার জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ (বিদেশগামী বাদ দিয়ে)।

জেলার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, ‘মৌলভীবাজার প্রবাসী ও পর্যটন–অধ্যুষিত একটি এলাকা। দ্রুত করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার এটি অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো এখানেও কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।’

জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং, মাস্ক বিতরণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায়ই জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে তেমন সচেতন হচ্ছেন না। জালাল উদ্দিন মোর্শেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বর্তমানে জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা ২২-৩০ শতাংশের ওপর নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ সরকারি চিকিৎসক জানান, প্রতিদিন সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেজে করোনার তথ্য আপডেট দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও কম। অথচ আইইডিসিআর’র বুলেটিনের তথ্যে ৪৯-৫০ শতাংশ দেখাচ্ছে। টিভিসহ প্রিন্ট মিডিয়াতে স্ক্রল যাচ্ছে। মানুষ দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুইরকম তথ্য দেখে আস্থা রাখতে পারছেন না। এই সংকটের সময় যদি সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে দুইরকম তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে মানুষের আস্থার জায়গা কোথায়, সঠিক তথ্যের জন্য মানুষ কোথায় যাবে?’

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন চিঠি দিয়ে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। সেখানে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য দুইরকমের। আমরাও ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। এজন্য আমি রোববার বিষয়টির বিস্তারিত জানার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছি। চিঠির উত্তর আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রাদুর্ভাব তদন্ত কর্মকর্তা লাবনী আক্তার বলেন, ‘সিলেট বিভাগের বাইরে যেসব টেস্ট হয়, সেগুলোর তথ্য মৌলভীবাজারের হিসাবে আসে না। সেটা জাতীয় হিসাবে চলে যায়। যার কারণে হতে পারে। তবে আমরা চিঠি পেয়েছি ও খতিয়ে দেখছি। তবে আইইডিসিআর এটা নিজে করেনি, সম্পূর্ণ তথ্য নেওয়া হয়েছে এমআইএস থেকে। এটি এমআেএসের তথ্য থেকেই করা হয়েছে। এমআইএসে এন্ট্রিজনিত কোনো ত্রুটি হয়ে থাকলে সেটারও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago