ফোর্বসের তালিকা: রিয়ালকে টপকে সবচেয়ে ধনী ক্লাব বার্সেলোনা

messi and vinicius
ছবি: টুইটার

তিন দিন আগে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লা লিগার ওই হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে রিয়াল। এল ক্লাসিকোতে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠতে না পারলেও অর্থমূল্যের বিবেচনায় ঠিকই চূড়ায় উঠেছে বার্সা। ফোর্বস জানিয়েছে, তারাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাব।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক ম্যাগাজিনটি সোমবার প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ২০ ক্লাবের তালিকা। স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সেলোনা প্রথমবারের মতো আরোহণ করেছে শৃঙ্গে। যদিও করোনাভাইরাসের ধাক্কায় আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা। এমনকি তাদের দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। কাতালানরা টপকে গেছে স্বদেশি জায়ান্ট রিয়ালকে। দুই বছর আগে সবশেষ প্রকাশিত তালিকায় লস ব্লাঙ্কোসরাই ছিল এক নম্বরে।

৪.৭৬ বিলিয়ন (৪৭৬ কোটি) ডলার নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে বার্সেলোনা। দুইয়ে নেমে যাওয়া রিয়ালের নামের পাশে ৪.৭৫ বিলিয়ন (৪৭৫ কোটি) ডলার। লা লিগার শিরোপাধারীদের পরেই জার্মান বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের অবস্থান (৪২১ কোটি ডলার)। সেরা দশের বাকি সাতটি স্থানের ছয়টিই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর দখলে।

চতুর্থ থেকে অষ্টম স্থানে আছে যথাক্রমে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৪২০ কোটি ডলার), লিভারপুল (৪১০ কোটি ডলার), ম্যানচেস্টার সিটি (৪০০ কোটি ডলার), চেলসি (৩২০ কোটি ডলার) ও আর্সেনাল (২৮০ কোটি ডলার)। ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারী পিএসজি (২৫০ কোটি ডলার) দখল করেছে নবম স্থান। দশে রয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার (২৩০ কোটি ডলার)। 

প্রথমবারের মতো সেরা দশে ঠাঁই নিয়েছে পিএসজি। গত দুই বছরে তাদের আর্থিক মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২৯ শতাংশ! তবে সেরা দশের বাইরে চলে গেছে ইতালিয়ান সিরি আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। তারা নেমে গেছে ১১ নম্বরে। ক্রমানুসারে তালিকার বাকি নয়টি দল হলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এভারটন, এসি মিলান, এএস রোমা, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, লেস্টার সিটি ও আয়াক্স আমস্টারডাম।

ফোর্বস জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরও গত দুই বছরে শীর্ষ ২০ ধনী ক্লাবের গড় অর্থমূল্যের উন্নতি হয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে সেটা ২.২৮ বিলিয়ন (২২৮ কোটি) ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রতিটি ম্যাচের দিন যে আয় হতো, বৈশ্বিক মহামারির কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুমের চেয়ে গত মৌসুমে তা প্রায় ৯.৬ শতাংশ কমেছে।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

5h ago