সর্বাগ্রে মানুষের জীবন, বেঁচে থাকলে সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার যে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তাতে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় সমস্যা হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে—মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: পিআইডি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার যে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তাতে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় সমস্যা হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে—মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই কথা বলেছেন।

বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ এর প্রাক্কালে দেওয়া ভাষণে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ জানান। গত এক বছরের বেশি সময়ে কোভিড-১৯ মহামারিতে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমরা বাইরে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারছি না। কারণ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে আঘাত হেনেছে সারা দেশে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনাভাইরাস আরও প্রাণঘাতী হয়ে আভির্ভূত হয়েছে। পয়লা বৈশাখের আনন্দ তাই গত বছরের মতো এবারও ঘরে বসেই উপভোগ করব আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মহামারি প্রতিরোধে যেহেতু মানুষের সঙ্গ-নিরোধ অন্যতম উপায়, সে জন্য আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়েছে যার ফলে মানুষের জীবন-জীবিকার উপর প্রভাব পড়েছে।

‘গত সপ্তাহে দ্বিতীয় ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করলে মানুষের চলাচলের উপর আমাদের কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয়। আপনারা দেখেছেন, কোনভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। জনস্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাই আমাদের আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমি জানি এরফলে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের সকলকেই মনে রাখতে হবে—মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব,’ ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধামন্ত্রী।

আরও পড়ুন:

গ্রামে কর্মসৃজনের জন্য ৮০৭ কোটি, ঈদে বরাদ্দ ৬৭২ কোটি টাকা

পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী

Comments