পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে দেশের সব মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাইকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি আছে সরকারের।
বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ এর প্রাক্কালে আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ জানান।
দেশে চলমান টিকা কার্যক্রমের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য টিকা উৎপাদনের শুরুতেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকার ডোজ আমরা নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। ইতোমধ্যেই ৫৬ লাখের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের সকলকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের সে প্রস্তুতি রয়েছে।’
করোনার চিকিৎসা সেবা সারাদেশে সম্প্রসারণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি জেলায় করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসা সুবিধার আওতা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইসিইউ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
তবে টিকা নিলেই যে রোগ থেকে শতভাগ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিকা দিলেই একজন সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত হবেন এমন নিশ্চয়তা নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কাজেই টিকা নেওয়ার পরও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরে ফিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গরম পানির ভাপ নিন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে ১৮-দফা নির্দেশনা জারি করেছে। আমরা যদি সকলে করোনাভাইরাস মোকাবিলার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, অবশ্যই এই মহামারিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন:
গ্রামে কর্মসৃজনের জন্য ৮০৭ কোটি, ঈদে বরাদ্দ ৬৭২ কোটি টাকা
সর্বাগ্রে মানুষের জীবন, বেঁচে থাকলে সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব: প্রধানমন্ত্রী
Comments