ভারতে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে আরও ৫ ভ্যাকসিন

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যবহার হচ্ছে এমন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শিগগির জরুরি অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যবহার হচ্ছে এমন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শিগগির জরুরি অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি জানায়, রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ ইতোমধ্যেই ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। ভ্যাকসিনটির সীমিত ডোজ নিয়ে এই মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে টিকাদান শুরু হওয়ার পরিকল্পনা দেশটির সরকারের।

এছাড়াও ভারতে আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। সে তালিকায় রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, জাইডাস ক্যাডিলা, সেরামের নোভাভ্যাক্স ও ভারত বায়োটেকের একটি নোজাল ভ্যাকসিন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশ ও জাপান অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত।

সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে এ সপ্তাহ থেকে চার দিনের ‘টিকা উৎসব’ ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড, এই দুটি ভ্যাকসিন দিয়েই ভারতের টিকা কর্মসূচি চলছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আশ্বস্ত করলেও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত প্রদেশ মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লি, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থান টিকার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিজের অক্ষমতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে আতঙ্ক তৈরি করছে মহারাষ্ট্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, টিকার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দোষের খেলা হওয়া উচিত না।

ভারত সরকারকে অন্যান্য ব্যবহারযোগ্য ভ্যাকসিনগুলোর অনুমোদন দিয়ে টিকা কর্মসূচির গতি বাড়িয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস।

দলটির প্রধান সোনিয়া গান্ধী গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লিখিতভাবে অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনগুলো জরুরি অনুমোদন ও সহজলভ্য করার আহ্বান জানান।

১০ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা কর্মসূচি শুরু করে ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে। গত সাত দিন ধরে দেশটিতে প্রতিদিন এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন এক লাখ ৭১ হাজার ৫৮ জন।

 

আরও পড়ুন:

ভারতে আজ শনাক্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৬, মৃত্যু ৮৭৯

Comments

The Daily Star  | English

No decision on AL independents yet: Quader

Many BNP leaders are taking part in the election because they don't want to support BNP's negative politics, says AL spokesperson

53m ago