সর্বশেষ সিদ্ধান্ত, লকডাউনে ব্যাংক খোলা ১০টা থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ছবি: আমরান হোসেন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা নির্দেশনাগুলো হলো-

১. ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংকিং সময়সূচি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করা হলো। এ ক্ষেত্রে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা ও প্রধান কার্যালয় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

২. বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় ও প্রধান শাখাসহ সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখতে হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। এ সময় উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা বৃহস্পতিবার, রবিবার ও মঙ্গলবার খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা নেওয়ার জন্য ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. গ্রাহকদের সব ধরণের জমা এবং উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট-পে অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা, অনুদান বিতরণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃশাখা অর্থ স্থানান্তর, এনআরবি বন্ডে এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদ পূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন) বিল নেওয়াসহ বাংলাদেশে ব্যাংকের চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪. সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. বিধিনিষেধ চলাকালে যে সব শাখা বন্ধ থাকবে সে সব শাখার গ্রাহক সেবা খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের সেবা পাওয়ার বিষয়ে জানাতে ওই শাখার দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সব খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোস্টারিং করে প্রয়োজনীয় ও সীমিত লোকবল দিয়ে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালুর সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা নেওয়া এবং বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে, আজ বিকেলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক খোলা রাখার এই নির্দেশনা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

‘We were forced to leave UCB, and the PM knew everything’

Former land minister Saifuzzaman Chowdhury Javed compelled UCB board members to resign and former prime minister Sheikh Hasina was aware of this, according to the lender’s new Chairman Sharif Zahir.

10h ago