লকডাউনে কড়াকড়ি, যাত্রী নেই শিমুলিয়াঘাটে
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি। ঘাটে আসার প্রবেশ পথগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট। বুধবার ভোর থেকে শিমুলিয়াঘাটে কোনো যাত্রীকে ঘাটে দেখা যায়নি।
পণ্যবাহী গাড়ি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহনগুলো ঘাটে আসছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় আছে শুধু পণ্যবাহী ট্রাক। আর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০টির মতো ব্যক্তিগত গাড়ি পার করা হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং অতি জরুরি ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত যানবাহন পারাপারে ফেরি চলাচল করছে। যেসব গাড়ি ঘাটে আসে সেসব পার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন জানান, বিকাল ৩টার দিকে শিমুলিয়াঘাটে ৩৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে। সিরিয়াল মেনে ধারাবাহিকভাবে এসব গাড়ি পার করা হচ্ছে। ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মুভেমন্ট পাস ব্যবহার করে কিছু গাড়ি চলাচল করছে। ঢাকা থেকে শিমুলিয়াঘাট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে বেশকিছু পুলিশের চেকপোস্ট আছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, লঞ্চ, পদ্মানদীতে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ আছে। শুধু ফেরি চলাচল করছে। ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঘাটে গাড়ি রাখার স্থান ফাকা, শুধু পণ্যবাহী ট্রাক আছে। কোন যাত্রীও আসছে না। ঘাটের ভিতরের নির্দেশনার আওতাধীন দোকানপাটও বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন-
Comments