অনেক দিন ধরে এমন কিছুর প্রতীক্ষায় ছিলেন বাবর

babar azam
ছবি: টুইটার

বিরাট কোহলিকে সরিয়ে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার খবর আগেই জেনেছিলেন বাবর আজম। তাতে উজ্জীবিত হয়েই কিনা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ঝড় তুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণে তার প্রথম সেঞ্চুরিতে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে অনায়াসে জিতল পাকিস্তান। পরে বাবর জানান, এমন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া তার অনেক দিনের সাধ ছিল।

বুধবার সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৫ উইকেটে ২০৩ রান। জবাবে ২ ওভার হাতে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে সফরকারীরা।

বাবর ৫৯ বলে ১২২ রানের অনবদ্য এক ইনিংসে খেলেন। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন এটি। ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বাবর। তিন অঙ্কে পৌঁছে যান ৪৯ বলে। তার ইনিংসে ছিল ১৫ চার ও ৪ ছয়। লক্ষ্য থেকে দল যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

অপেক্ষার প্রহর শেষ হওয়ায় ভীষণ খুশি বাবর ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে এমন কিছুর প্রতীক্ষায় ছিলাম। পরিকল্পনা করেছি অনেক দিন ধরে। আজ (বুধবার) আল্লাহ আমাকে (অপেক্ষা) শেষ করার সুযোগ দিলেন। আমি আমার শক্তির উপর ভরসা রেখেছি এবং সে অনুসারে খেলেছি। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলেছি।’

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার স্বপ্ন পূরণের পেছনে নিজের পরিশ্রম ও শেখার আগ্রহকে কৃতিত্ব দেন তিনি, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে আমার আরেকটি স্বপ্নও পূরণ হয়েছে। আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। (র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হতে) প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি শেখা জারি রেখেছি এবং নিজের খেলায় নতুন নতুন জিনিস যোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর আমি এভাবেই চালিয়ে যেতে থাকব।’

বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৯৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি এটি। পাকিস্তানের আগের সেরা জুটিটি ছিল আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজের মধ্যে, ১৪৩ রানের। বাবর বিদায় নিলেও রিজওয়ান খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়েন। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৭৩ রানে।

রিজওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাবর বলেন, ‘রিজওয়ান ভাইও অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছেন। তিনি রোজা রেখেছিলেন। তারপরও যেভাবে তিনি ব্যাটিং ও উইকেটকিপিং করেছেন, সেটা দুর্দান্ত ছিল। তাকে দেখে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস ও আস্থা পাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Rizwana reaffirms that election will be held between December and June

"People may have many expectations, but to fulfill them, the enabling environment must be in place"

3h ago