রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, ১০ কূটনীতিক বহিষ্কার

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার অ্যাটাক ও অন্যান্য বিদ্বেষমূলক কাজের জন্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
joe biden ‍and vladimir putin.jpg
মার্কিন প্রেসডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার অ্যাটাক ও অন্যান্য বিদ্বেষমূলক কাজের জন্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

আজ শুক্রবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে ডজন খানেক রুশ কর্মকর্তা ও সংস্থা।

আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের সই করা নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘গঠনমূলক’ ফোনালাপের সময় বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুতিনকে সতর্ক করেছিলেন।

হোয়াইট হাউস থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, ‘রাশিয়ার ক্ষতিকর বৈদেশিক কর্মকাণ্ড’ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়েছে, গত বছরের বিস্তৃত ‘সোলারউইন্ড’ হ্যাকিংয়ের পেছনে রুশ গোয়েন্দাদের হাত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও রয়েছে মস্কোর বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়া বলেছে, তারা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সই করা এক নির্বাহী আদেশে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো।

গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্টের সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সাত কর্মকর্তা ও এক ডজনের বেশি সরকারি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত নয় বলে জানিয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের বক্তব্য

রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞাকে গতকাল জো বাইডেন ‘সমানুপাতিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংঘাতে জড়াতে চায় না।’

তিনি ‘গঠনমূলক আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে’ সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

মস্কোর প্রতিক্রিয়া

নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার খানিক পরেই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘শত্রুতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এটি ‘সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দেবে’ বলেও উল্লেখ করেন তারা।

এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এমন আগ্রাসী ব্যবহারের যথাযথ উত্তর দেওয়া হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানোও হয়।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো ও যুক্তরাজ্য।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

2h ago