দুই পজিশনে ব্যাট করে লিটনের প্রস্তুতি, মিরাজের ৩ উইকেট
সাদমান ইসলামের সঙ্গে সবুজ দলের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন লিটন দাস। ২৭ রান করেই স্বেচ্ছায় অবসরে যান। পরে নামেন নিজের চেনা পজিশন সাত নম্বরে। সেখানে নেমেও আর আউট হননি। ফিফটি পেরিয়ে মাঠ ছেড়েছেন স্বেচ্ছায়। আগের দিন বোলাররা নির্বিষ থাকলেও এদিন উইকেটের দেখা পেয়েছেন বেশ কজন বোলার। তাদের মধ্যে সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ।
রোববার কাতুনায়েকেতে প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ৭১ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৫ রান করে সবুজ দল। এরপর ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। দলের হয়ে লিটন সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ রান। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ২৮ রান।
মিরাজ ৪১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাইজুল ইসলাম ৩০ রানে পান ১ উইকেট। পেসারদের মধ্যে একমাত্র সফল আবু জায়েদ রাহি। ২৮ রানে তিনি পেয়েছেন ১ উইকেট।
টেস্টে এমনিতে সাত নম্বরে নামেন লিটন। তবে তাকে ওপেনিংয়ে নামানোর চিন্তাও এসেছে। বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার হিসেবে নুরুল হাসান সোহানকে সাতে খেলিয়ে লিটনকে ওপেন করানো যায় কিনা, এমন কৌতূহল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও ছিল। সেটা তখন হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচে লিটনকে সেই চিন্তা থেকে ওপেন করানো হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। আগের দিন সাতে নেমে নুরুল হাসান সোহান ৪৮ রান করে মাঠ ছেড়েছিলেন। কিপিং দক্ষতায় যাকে বিবেচনা করা হয় দেশসেরা।
এদিন ওপেনিংয়ে ২৭ আর সাত নম্বরে লিটন করেন ৩৭ রান। আউট না হওয়ায় দুই জায়গাতেই তার ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল।
শ্রীলঙ্কার গরমে আগের দিন লাল দলের ব্যাটিংয়ে বোলাররা ছিলেন ব্যর্থ। পুরোদিনে একমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন শুভাগত হোম। এদিন অনেকটাই ভিন্ন ছবি। লাল দলের হয়ে অবশ্য টেস্ট দলের প্রথম একাদশের বোলারাই খেলেছেন। সবাই মিলে ৫ উইকেট তুলে সেরেছেন প্রস্তুতি।
২১ এপ্রিল পালেকেল্লেতে শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। ২৯ এপ্রিল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে একই ভেন্যুতে। সিরিজের আগে আরও দুদিন অনুশীলনের সুযোগ আছে বাংলাদেশ দলের।
Comments