সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে যিনি উৎসর্গ করেছিলেন নিজের প্রাণ
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/175449394_491549862265128_7045948862747728063_n.jpg?itok=AoieR03r×tamp=1618915096)
ফরিদপুরের মধুখালীর মসজিদের ইমাম মুন্সি মেহেদি হাসান। ১৯৪৩ সালের মে মাসের এক রাতে তার স্ত্রী মুকিদুন্নেসার প্রসব বেদনা উঠলে জলদি ভাইয়ের বউ আর বোনকে ডাকলেন মেহেদি হাসান। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারপাশে তখন, কেবল ঘরের মধ্যে একটা পিদিম জ্বলছে। বাইরে অস্থির হয়ে পায়চারি করছেন আর খোদাকে ডাকছেন মেহেদি হাসান। একসময় ভিতর থেকে বললো, 'আসেন।' মুন্সি মেহেদি হাসান দেখলেন ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝেই আলোর রোশনাই যেন নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে। টিমটিম চেরাগের আলোয় মেহেদি হাসান যেন এই আঁধারে আকাশের চাঁদ দেখলেন। তিনি কি জানতেন সেদিন যে সন্তানের জন্ম হলো, কালের বিবর্তনে এদেশের মানুষ সেই নবজাতককে স্মরণ করবে যুগের পর যুগ ধরে!
মুন্সি মেহেদি হাসান সৃষ্টিকর্তার নামে ছেলের নাম রাখলেন "রব"। পুরো নাম মুন্সি আব্দুর রউফ। রব অর্থ প্রতিপালক। প্রতিদিন সকালে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরে ছেলেকে নিয়ে উঠোনে বসতেন মেহেদি হাসান। নিজেই ছেলেকে কোরআন শেখালেন, নিজেই পড়াতেন যত্ন করে। কিন্তু ছেলের পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক নেই, খালি ঘোরাঘুরি, ডুব দিয়ে মধুমতী নদীর এপার থেকে ওপাড়ে ছোটা। একমাত্র ছেলে বলে মুন্সি মেহেদি হাসান ভীষণ স্নেহও করতেন। অবশ্য মা মুকিদুন্নেসার শাসন ছিল কড়া। মুকিদুন্নেসা নিজেও ছিলেন অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। বাবার সঙ্গের চেয়ে চাচার সঙ্গই বেশি টানতো রবকে। চাচা ছিলেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের হাবিলদার। ছুটিতে চাচা বাড়িতে এলে বৈঠকখানার ঘরে বসে সৈনিকদের গল্প শুনতে উদগ্রীব হয়ে থাকতো রব। চাচা ভীষণ আগ্রহ নিয়ে শোনাতেন। দেখতেন তন্ময় হয়ে চেয়ে চেয়ে শুনছে রব।
এমনিতেই অভাবের সংসার তার উপর ছেলের পড়াশোনায় চূড়ান্ত অমনোযোগিতা। একদিন রেগেমেগে অস্থির হয়ে ছেলেকে পড়তে বসতে বললেন মুকিদুন্নেসা। মাকে দেখে রব উল্টো দৌড় দিলো। ছেলের পিছু মা ছুটছেন, ছেলে মাকে ছুটতে দেখে আরো জোরে ছুটছে। একসময় নদীর পাড়ে চলে এলো রব। তারপর উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে বললো, ‘তুমি আমাকে ধরতে আইলে আমি পানিত লাফ দিমু।‘ মা আর কিচ্ছু বললেন না। সেদিনের মতো বুঝিয়ে সুঝিয়ে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে গেলেন। এরপর থেকে আর ছেলেকে একবারও বকেননি মুকিদুন্নেসা। ছেলেরও একটা সময় লেখাপড়ার প্রতি খানিকটা আগ্রহ এলো, আগ্রহ নিয়ে পড়তো। বাবা ভীষণ খুশি হতেন ছেলের পড়াশোনায় খানিকটা উন্নতি দেখে। কিন্তু এই সুখ আর বেশিদিন সইলো না। হঠাৎ করে স্বামী মারা যাওয়ায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো মুকিদুন্নেসার। সংসার এখন দেখবে কে! উপার্জনকারী লোকটাই তো চলে গেল। এমনিতেই টানাটানির সংসার। দিশেহারা হয়ে পড়লেন মুকিদুন্নেসা। বাধ্য হয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির কাঁথা সেলাই করে সংসার চালাতেন তিনি। বানাতেন শিকে, সেই শিকে হাটে বিক্রি হতো। এভাবেই দিন কাটছিল।
ছেলের পড়াশোনার প্রতি ভীষণ মনোযোগ। দুই মেয়ে আর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভীষণ আশা মুকিদুন্নেসার। প্রাইমারি শেষে ছেলে ভর্তি হলো থানার হাইস্কুলে। স্কুলে পড়া অবস্থায় মুন্সি আব্দুর রউফ দেখলেন সংসার চালাতে মায়ের কষ্ট। মায়ের এতো পরিশ্রম তার আর সহ্য হচ্ছে না। চাচাকে বলেছিলো সে একবার চাকরি নেবে কোথাও। সংসারের অনটন দূর করবে। চাচা বলেছিলেন, সপ্তম শ্রেণি পাশ করতে পারলেই হবে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় অবশেষে এলো সেই সুযোগ। ১৯৬৩ সালের মে মাস, ইপিআরে যোগ দিলেন মুন্সি আব্দুর রউফ। প্রথমে চুয়াডাঙ্গার ইপিআর ক্যাম্প থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে আব্দুর রউফকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখান থেকে নিয়মিত মাকে চিঠি লিখতেন আর মাস শেষে টাকা পাঠাতেন রউফ। মায়ের ভাবনা, ছেলে এবার বাড়ি ফিরলে বিয়ে করাতে হবে। ছয় মাস পরে তাকে কুমিল্লায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
মুন্সি আব্দুর রউফ চাকরি করতেন ইপিআরের চট্টগ্রামের ১১ উইংয়ে ল্যান্স নায়েক হিসেবে। মাঝারি মেশিনগান ডিপার্টমেন্টের ১নং মেশিনগানার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মুন্সি আব্দুর রউফ। ১৯৭১ সাল ঘনিয়ে এলো। ছোট বোন হাজেরার জন্য একের পর এক প্রস্তাব আসছে। মা চিঠি লিখলেন তার আদরের সন্তান রবকে। রব ফিরতি চিঠিতে লিখলেন "এখন একটু কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে, তাই আগের মতো ঘন ঘন ছুটি পাই না। তার জন্য তুমি চিন্তা করো না। হাজেরার বিয়ে তুমি ঠিক করো। আমি নতুন শাড়ি নিয়ে বাড়ি আসবো।" মা চিঠি পড়ে আকুল হয়ে দুচোখ ভাসালেন। কতদিন ছেলেকে চোখের দেখা দেখেন না। কেমন আছে রউফ? ঠিক মতো খাচ্ছে তো! মা চিঠি লিখতে বসলেন। মায়ের মনে পড়লো বড় মেয়ে জোহরার বিয়ের সময়ের কথা। বড় মেয়ের বিয়ের সময় নতুন শাড়ি দিতে পারেননি মুকিদুন্নেছা। মাকে কাঁদতে দেখে রউফ বলেছিলো "দেখবা মা আমি বড় হয়ে চাকরি করমু। তখন তোমারে মেলা শাড়ি দিমু।" এখন কী সুখের সংসার। মা চিঠি লিখতে বসলেন। দুচোখ ভাসিয়ে মন উজাড় করে চিঠি লিখলেন। কিন্তু সেই চিঠির জবাব আর আসে না।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হলেন মুন্সি আব্দুর রউফ। তখন যুদ্ধের প্রস্তুতিপর্ব চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি- মহালছড়ি জলপথের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন ল্যান্স নায়েক রউফ। ক্যাপ্টেন খালিকুজ্জামান ছিলেন এই গ্রুপের নেতৃত্বে। এই নিভৃত শান্ত জলপথ দিয়ে পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনীর চলাচল প্রতিরোধের দায়িত্ব পড়ে তার কোম্পানির উপর। কোম্পানিটি বুড়িঘাট এলাকার চেঙ্গিখালের দুই পাড়ে অবস্থান নিয়ে গড়ে তোলে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি। ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ছিলেন সেই কোম্পানিতেই।
২০ এপ্রিল ১৯৭১। আজকের মতো সেদিনও ছিলো মঙ্গলবার। মধ্য দুপুর। বৈশাখের তপ্ত রোদ যেন গনগন করছে। ঠিক এমন সময় পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানি সৈন্য মর্টার, মেশিনগান ও রাইফেল নিয়ে বুড়িঘাটের মুক্তিবাহিনীর নতুন প্রতিরক্ষা ঘাঁটিকে বিধ্বস্ত করতে সাতটি স্পিডবোট এবং দুইটি লঞ্চ নিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো। তাদের লক্ষ্য মুক্তিবাহিনীর নতুন প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ধ্বংস করা। পাহারায় তখন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানি।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কাছাকাছি পৌঁছেই পাকিস্তানি বাহিনী আচমকা আক্রমণ শুরু করলো। স্পিডবোট থেকে হানাদারেরা মেশিনগানের গুলি এবং আর লঞ্চ দুটি থেকে তিন ইঞ্চি মর্টারের শেল নিক্ষেপ করছিল মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে। পাকিস্তানি বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল রাঙামাটি-মহালছড়ির জলপথ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করা।
অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পরিখায় অবস্থান নিয়ে নেন। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির তীব্রতায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে যায় এবং তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করে ফেলে। যুদ্ধের এই পর্যায়ে আব্দুর রউফ বুঝতে পারেন, এভাবে চলতে থাকলে ঘাঁটির সবাইকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণ করতে হবে। মুন্সি আব্দুর রউফ তখন কৌশলগত কারণে পশ্চাৎপসরণের সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্ত সৈন্যদের জানানো হলে সৈন্যরা পিছু হটতে শুরু করে। এদিকে পাকিস্তানি বাহিনী তখন খুব কাছে চলে আসে।
মুন্সি আব্দুর রউফ দেখলেন একযোগে পিছু হটতে থাকলে একসাথে সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হতে পারে। এই ভেবে আব্দুর রউফ ভাবলেন কাউকে না কাউকে প্রতিরোধ করে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তিনি একাই দাঁড়িয়ে গেলেন। সহযোদ্ধাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিতে নিজে পরিখায় দাঁড়িয়ে অনবরত গুলি করতে থাকেন পাকিস্তানি স্পিডবোটগুলোকে লক্ষ্য করে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে একা কৌশলে লড়ছিলেন তিনি। বৃষ্টির মতো গুলি পাল্টা গুলি চলছে। একাই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে চলছে তার গুলি। আক্রমণের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা। সাতটি স্পিডবোট একে একে ডুবিয়ে দিলে হানাদারেরা তাদের দুটি লঞ্চ নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হলো। লঞ্চ দুটো পিছু হটে রউফের মেশিনগানের গুলির আওতার বাইরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিলো। এরপর পাকিস্তানি বাহিনী লঞ্চ থেকে মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। মর্টারের গোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রউফের একার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তবু তিনি চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। হঠাৎ একটি মর্টারের গোলা তার বাঙ্কারে এসে পড়লো, গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল তার শরীর। এরই মধ্যে তার সহযোগী যোদ্ধারা সবাই নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের আত্মত্যাগে তার কোম্পানির প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে জীবন রক্ষা পেয়েছিলেন। বাংলা মায়ের সেই দামাল ছেলে চিরতরে ঘুমিয়ে গেলেন বাংলার মাটিতে। বাংলার মুক্তির শাড়ি বুনতে গিয়ে বোনের বিয়ের জন্য নেয়া হলো না নতুন শাড়ি।
দেশ স্বাধীন হলে একে একে সবাই বাড়ি ফিরে গেল, ফিরে গেলেন না মুকিদুন্নেছার আদরের সন্তান রব। বরং এক স্বাধীনতার জন্য, মাতৃভূমির মুক্তির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিলেন। তাইতো মা মুকিদুন্নেছার কণ্ঠে কোন আক্ষেপ ছিল না। বলেছিলেন মুকিদুন্নেছা, ‘শেয়াল-কুকুরের মতো পালিয়ে না মরে দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে বীরের মতো লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছে আমার ছেলে।’
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে কাপ্তাই লেকের পাড়ে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। তার সমাধিস্থলে লেখা "তুমি দুর্জয় নির্ভীক মৃত্যুহীন এক প্রাণ" যেন বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁ আত্মত্যাগ। ১৯৯৬ সালে তার সহযোদ্ধা, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের কবর।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল আজকের দিনে একটি দেশের জন্য, মাতৃভূমির জন্য, মুক্ত স্বদেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। এই বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে, এই বাংলার মানুষ যতদিন থাকবে, ততদিন চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন মুন্সী আব্দুর রউফ।
তথ্যসূত্র –
Unforgettable heroes of Bangladesh/ Raiful Alam.
তোমাদের এই ঋণ শোধ হবে না/ দৈনিক প্রথম আলো, ১৯ ডিসেম্বর ২০১২
বাংলাপিডিয়া
আহমাদ ইশতিয়াক [email protected]
আরও পড়ুন:
১৯ এপ্রিল ১৯৭১: প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ১৮ নির্দেশনা
১৮ এপ্রিল ১৯৭১: বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সূচনা, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের শপথ
১৬ এপ্রিল ১৯৭১: প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিসভার শপথের অপেক্ষা, ঢাকায় কারফিউ শিথিল
১৫ এপ্রিল ১৯৭১: নিভৃতে কেটেছে বাংলা নববর্ষ, ভয়ে-আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ে মানুষ
১৩ এপ্রিল ১৯৭১: চারঘাট গণহত্যা ও ঘটনাবহুল একটি দিন
১২ এপ্রিল ১৯৭১: বালারখাইল গণহত্যা ও ঘটনাবহুল একটি দিন
১১ এপ্রিল, ১৯৭১: দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান তাজউদ্দীন আহমদের
Comments