মিশ্রার ঘূর্ণিতে মুম্বাইকে হারাল দিল্লি

জাতীয় দলের বিবেচনায় নেই আরও চার বছর আগে থেকেই। তবে বোলিংয়ে ধার হারাননি তার প্রমাণ তার প্রমাণ দিলেন অমিত মিশ্রা। তার ঘূর্ণি জালেই পড়ে সাদামাটা পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। আর সহজ লক্ষ্যে বাকী কাজটা শেষ করেন ব্যাটসম্যানরা। ফলে টানা দ্বিতীয় জয়ে শীর্ষে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে স্পর্শ করল দিল্লি ক্যাপিটালস।
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলের বিবেচনায় নেই আরও চার বছর আগে থেকেই। তবে বোলিংয়ে ধার হারাননি তার প্রমাণ তার প্রমাণ দিলেন অমিত মিশ্রা। তার ঘূর্ণি জালেই পড়ে সাদামাটা পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। আর সহজ লক্ষ্যে বাকী কাজটা শেষ করেন ব্যাটসম্যানরা। ফলে টানা দ্বিতীয় জয়ে শীর্ষে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে স্পর্শ করল দিল্লি ক্যাপিটালস।

মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে মুম্বাইকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মিশ্রার ঘূর্ণিতে পড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে সে ৫ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় রিশাভ পান্তের দল। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।

তবে রান তাড়ায় দিল্লির শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১১ রানেই সাজঘরে ফেরেন পৃথ্বী শ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ান। গড়েন ৫৩ রানের জুটি। এরপর স্মিথ ফিরে গেলে লালিত যাদবের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ৩৬ রান যোগ করে আউট হন ধাওয়ান। এরপর অবশ্য ১৫ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রিশাভ পান্তকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল দলটি। তবে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান শিমরান হেটমায়ারকে নিয়ে বাকী কাজ শেষ করেন লালিত।

সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। ৪২ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন ইনি। ২৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রান করেন স্মিথ। লালিত খেলেন অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস। 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা মুম্বাইয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানেই ফিরে যান প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে ওঠেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এ জুটি ভাঙেন আভিস খান। এরপর মিশ্রার মায়াজালে পড়ে দলটি। ফলে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক রোহিত। ৩০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ইশান কিশান করেন ২৬ রান। সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। শেষ দিকে জয়ন্ত যাদব করেন ২৩ রান।

দিল্লির পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন মিশ্রা। আভিস পান ২টি উইকেট। তবে রান দেওয়ায় বেশ কিপটে ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন এ পেসার।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago