৮০ ভাগ দেশে মার্কিনদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ
করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রায় ৮০ ভাগ দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, গণমাধ্যমে পাঠানো দেশটির ভ্রমণবিষয়ক গাইডলাইনে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারি ‘পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে ৩৪টি দেশকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই চার স্তরের সতর্কতার সর্বোচ্চ অর্থাৎ ‘লেভেল-৪: ডু নট ট্রাভেল’ এর তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে আছে চাদ, কসোভো, কেনিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, হাইতি, মোজাম্বিক, রাশিয়া ও তানজানিয়া।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নির্দিষ্টভাবে দেশগুলোর বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কথা নতুনভাবে বিবেচনায় না নিয়ে’ বরং বিদ্যমান মহামারি নিয়ে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র’র (সিডিসি) মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে এটি করা হয়েছে।
নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন বেশিরভাগ আমেরিকান প্রায় ৮০ ভাগ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ বা অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের চার স্তরের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সেগুলো হলো- ম্যাকাও, তাইওয়ান ও নিউজিল্যান্ড।
এমনকি, অ্যান্টার্কটিকাও ঝুঁকির দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ আছে তৃতীয় স্তরে।
সিডিসির পরামর্শ হলো, সমস্ত আমেরিকানদের টিকা না দেওয়া পর্যন্ত তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া সত্ত্বেও ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি’ আছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রগামী সব যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সনদ অথবা করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সর্তক করেছে যে, বিশ্বব্যাপী টিকা কর্মসূচি শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ব ‘সংক্রমণের শীর্ষের দিকে এগোচ্ছে’।
বর্তমানে ১৬৫টি দেশে করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি চলছে। ইতোমধ্যে ৮৬ কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখনও করোনার সঙ্গে লড়াই করছে।
সম্প্রতি বিশ্বের অনেক দেশে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, ব্রাজিল ও ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় করোনা সংক্রমণের কারণে ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। কানাডাতেও সম্প্রতি আক্রান্তের হার বেড়েছে।
Comments