আগ্রাসী তামিম, ঝলমলে শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া থাকলেও ব্যাট করার জন্য ছিল বেশ সহায়ক কন্ডিশন। মুমিনুল হকের তাই টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধার কারণ দেখেননি। তাতে বেশ ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল শুরু থেকেই খেলছেন দারুণ ইতিবাচক মানসিকতায়। নাজমুল হোসেন শান্ত দেখাচ্ছেন দৃঢ়তা। প্রথম সেশনটা তাই বাংলাদেশের।
পালেকেল্লেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৭ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেটে ১০৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। চোখ ধাঁধানো সব শটে ৬৬ রান নিয়ে খেলছেন তামিম, তার সঙ্গে আস্থা হয়ে ৩৭ রানে আছেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এসে গেছে ৯৮ রান।
ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অবশ্য সাইফ হাসানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব ফার্নেন্দোর সোজা বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে প্যাডে লাগিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে সাইফকে এলবিডব্লিউতে ফেরায় শ্রীলঙ্কা।
সাইফ সুযোগ নষ্ট করলেও ফর্মের খোঁজে থাকা শান্ত ক্রিজে এসেই দেখান সতর্ক মেজাজ। আরেক পাশে তামিম ছিলেন সাবলীল। দ্রুত গতিতে রান আনছিলেন তিনি। দ্রুত রান আনতে গিয়েও খুব একটা ঝুঁকির পথে যেতে হয়নি তাকে। ফ্লিক, কাভার ড্রাইভে নিরাপদেই এগিয়েছেন তিনি।
প্রথম ঘন্টায় বাংলাদেশ তুলে ১ উইকেটে ৫৭ রান, যার ৪৭ রানই আসে তামিমের ব্যাট থেকে। ৫২ বলে ফিফটিতে পৌঁছান টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক। ফিফটি পেরিয়ে যাওয়ার পরও খেলছেন পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে। অনেকটা ওয়ানডে গতিতে এগিয়ে যাওয়া তার ইনিংস আছে সেঞ্চুরির পথে।
তিন নম্বরে সুযোগ পেয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল শান্ত। তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের রানে ফেরা ছিল ভীষণ জরুরি। সহায়ক কন্ডিশন পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন। শুরুতে থিতু হতে সময় নিয়েছেন। থিতু হওয়ার পর আর জড়তা কাজ করেনি। এগিয়ে যান স্বাচ্ছন্দ্যে।
তবে শান্ত একটা সুযোগও দিয়েছিলেন। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার স্পিনে তার আউটসাইড এজ হয়ে যাওয়া ক্যাচ ধরতে পারেননি কিপার নিরোশান ডিকভেলা। ২৮ রানে জীবন পান শান্ত। বাকিটা সময় আর বিপদ ঘটেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৭ ওভারে ১০৬ (তামিম ব্যাটিং ৬৫*, সাইফ ০, শান্ত ব্যাটিং ৩৭* ; লাকমাল ০/২৩, বিশ্ব ১/২৭, লাহিরু ০/২৫, ম্যাথিউস ০/৬, ধনঞ্জয়া ০/২১, হাসারাঙ্গা ০/৩ )
Comments