রিজওয়ানের ব্যাটে জিম্বাবুয়েকে হারাল পাকিস্তান
এক প্রান্তে উইকেট পড়ছিল নিয়মিতই। তবে অপর প্রান্তটা ধরে রেখে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। বাকী কাজটা সারেন বোলাররা। তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে সফরকারী পাকিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।
হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ১১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে দলটি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য এক সময় ভালোই জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২১ রানে দুই উইকেট হারালেও ক্রেইগ আরভিন ও টিনাশে কামুনহুকাম্বের ব্যাটে ২ উইকেটে ৭৭ রান ছিল তাদের। শেষ নয় ওভারে তখন ৮ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭৩ রানের। কিন্তু এরপর উসমান কাদিরের ঘূর্ণিতে ১৮ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকদের চার উইকেট তুলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি দলটি।
যদিও শেষ দিকে চেষ্টা করেছিলেন লুক জংবি। ২৩ বলে হার না মানা ৩০ রানের ইনিংসে আশা যুগিয়েছিলেন। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় ১১ রান দূরেই থামতে হয় দলটিকে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে আরভিনের ব্যাট থেকে। কামুনহুকাম্বে করেন ২৯ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন কাদির। ২টি শিকার করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংসটি ছিল কেবলই রিজওয়ানময়। এ ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। তবে এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন রিজওয়ান। পাশাপাশি রানের গতিও সচল রাখার চেষ্টা করেন।
শুরুতেই ফর্মে থাকা অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামানকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। চতুর্থ উইকেটে দানিস আজিজের সঙ্গে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। তাতে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ৬১ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি ১৫ রানের। আসে দানিসের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান লুক জংবি ও ওয়েস্লি মাধেভেরে।
Comments