তৃতীয় দফা লকডাউনের প্রথম দিন

রাজধানীতে গণপরিবহন ছাড়া সবই চলছে

‘দেখে মনে হবে যেন রাজধানীতে গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়া রাস্তায় রয়েছে সব ধরনের পরিবহন। গণপরিবহন না থাকায় অফিসগামী বা কর্মজীবী মানুষদের যাতায়াত খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’
রাজধানীর শ্যামলীতে যান চলাচলের চিত্র। ২২ এপ্রিল ২০২১। ছবি: মুনতাকিম সাদ

‘দেখে মনে হবে যেন রাজধানীতে গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়া রাস্তায় রয়েছে সব ধরনের পরিবহন। গণপরিবহন না থাকায় অফিসগামী বা কর্মজীবী মানুষদের যাতায়াত খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’

‘বাস না থাকায় রাস্তায় বাড়তি মানুষ পরিবহনের জন্যে রিকশা, ভাড়ায়-চালিত মোটরসাইকেল ও সিএনজি-চালিত অটোরিকশার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তবে এখন যাতায়াত খরচও বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।’

এমন আক্ষেপ-অভিযোগের কথা দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন নাম বেসরকারি চাকরিজীবী শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন না থাকায় রাইড শেয়ারিংয়ে মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতে হচ্ছে যাধ্য হচ্ছি।’

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা। ২২ এপ্রিল ২০২১। ছবি: পলাশ খান

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৩ দফা বিধি-নিষেধ থাকলেও, দিন যতই যাচ্ছে ঢাকার রাস্তায় বাড়ছে যান চলাচল ও মানুষের উপস্থিতি।

সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে সরকার আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে।

আজ রাজধানীর শ্যামলী, আসাদ গেট, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কেবলমাত্র যাত্রীবাহী বাস ছাড়া রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষণও শিথিল দেখা গেছে। কলেজগেট, আসাদগেট, মানিকমিয়া এভিনিউ ও ফার্মগেট চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।

ছবি: পলাশ খান/ স্টার ফাইল ফটো

এছাড়া বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমও তেমনভাবে চোখে পড়েনি।

রাস্তায় বের হওয়া লোকজনেরা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, তাদের পক্ষে আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়। তাদের অনেকে বলছেন, এত দিন ঘরে বসে থাকলে না খেয়েই মরে যেতে হবে। তাই বেঁচে থাকা তাগিদ নিয়েই তারা কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হয়েছেন।

শ্যামলীতে একাধিক হাসপাতাল থাকায় অনেককে সেখানে করোনার পরীক্ষা  ও টিকা নিতে আসতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার কাঁচাবাজারের চিত্রও ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। রাস্তায় পাশে অনেক দোকানের শাটার অর্ধেকটা খুলে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চেকপোস্টে শিথিলতার কোন নির্দেশনা নেই। যেটা হচ্ছে জাতীয় পরিসেবার অন্তর্ভুক্ত মানুষের চলাচল বাড়ছে। সেই মানুষগুলোর চলাচলের জন্য পরিবহনও ব্যবহার করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষ মুভমেন্ট পাস নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য ও পণ্য পরিবহনগুলোও রাস্তায় চলছে।’

‘রাস্তায় মানুষের বাড়তি চাপ থাকায় সবাইকে চেকপোস্টে চেক করার সম্ভব নয়, এতে করে রাস্তায় জট সৃষ্টি হতে পারে। ফলে চেকপোস্টগুলোতে রেনডমলি চেক করা হচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago