বার্সেলোনা সুপার লিগে যাওয়ায় 'দোষ' দেখছেন না উয়েফা প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বকে উত্তাল করে আলাদা ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের জায়ান্ট ১২টি দল। যদিও শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে এ প্রকল্প। তাতে বেশ চাপেই আছে ক্লাবগুলো। নিজেদের সমর্থকদের তো বটেই, উয়েফা ও ফিফার রোষানলেও পড়েছে তারা। কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার প্রতি বেশ নমনীয় উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিন।

সাম্প্রতিক সময়ের ক্লাবটির আর্থিক দিক বিবেচনায় কাতালানদের উপর হতাশাটা কম বলে জানিয়েছেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট। স্লোভেনিয়ান টিভি ২৪ইউআরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেফেরিন বলেছেন, 'তারা সবাই আমাকে হতাশ করেছে, তবে বার্সেলোনা কিছুটা কমই করেছে।'

অথচ সুপার লিগের এ প্রকল্প থেকে এখন পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আছে কেবল বার্সেলোনাই। তাদের এমনকি নতুন সমাধানের পথও খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন সুপার লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু তারপরও বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা এ প্রকল্পে নাম লেখানোয় দোষ দেখছেন না উয়েফা প্রেসিডেন্ট সেফেরিন।

ব্যাপারটা বিস্ময়কর হলেও তার ব্যাখ্যাটা ভালোভাবেই দিয়েছেন এ স্লোভেনিয়ান, 'লাপোর্তা মাত্র দুই মাস হয়নি বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। তাই তার এখানে খুব বেশি কিছু করার ছিল না। সে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সদস্যদের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যেটা স্মার্ট পদক্ষেপ ছিল।'

বার্সার আর্থিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, 'আমি তার সঙ্গে দুই কি তিনবার কথা বলেছি। সে খুব চাপের মধ্যে ছিল কারণ বার্সেলোনার সাম্প্রতিক সময়ের কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির কারণে। এটা তার দোষ নয় যে ক্লাব এই অবস্থায় রয়েছে। সে আক্ষরিক অর্থেই অনেক বেশি চাপের মধ্যে আছে।' 

গত রোববার বেশ সাহসিকতার সঙ্গে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইউরোপের ১২টি দল। নানা নাটকীয় ঘটনার পরে মঙ্গলবার রাতেই সরে দাঁড়ায় নিজেদের সরিয়ে নেয় ইংল্যান্ডের ৬ ক্লাব। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও মিলানের দুই ক্লাব। শর্ত সাপেক্ষে জুভেন্টাসও অপারগতা প্রকাশ করে। তাতেই বাতিল হওয়ার পথে এ প্রকল্প। তবে সমাধানের নতুন পথ খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন এর সভাপতি পেরেজ।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

44m ago