দেবদূতের সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল মোস্তাফিজের রাজস্থান

লক্ষ্যটা মোটেও ছোট ছিল না। ১৭৭ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পুঁজি নিয়েই জয়ের রেকর্ড রয়েছে ভুরিভুরি। কিন্তু সে লক্ষ্যটা একেবারেই মামুলী বানিয়ে দিলেন দেবদূত পাডিক্কাল।
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্যটা মোটেও ছোট ছিল না। ১৭৭ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পুঁজি নিয়েই জয়ের রেকর্ড রয়েছে ভুরিভুরি। কিন্তু সে লক্ষ্যটা একেবারেই মামুলী বানিয়ে দিলেন দেবদূত পাডিক্কাল। কম যাননি হালের অন্যতম সেরা বিরাট কোহলিও। এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে রাজস্থান রয়্যালসকে উড়িয়ে দিয়েছে দারুণ ছন্দে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে রাজস্থানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৭ রান করে রাজস্থান। জবাবে ২১ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় কোহলির দল। আসরে টানা চতুর্থ জয় পেলে দলটি। চার ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। চার ম্যাচে রাজস্থানের পয়েন্ট ২।

রাজস্থানের বোলারদের ব্যর্থতার ভিড়ে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও কিছু করতে পারেননি। ৩.৩ ওভার বল করে রান দেন ৩৪টি।

বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি দারুণ ব্যাটিং করলেও সব আলো কেড়ে নেন দেবদূত। তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি এমন তৃতীয় ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন এ ব্যাটসম্যান। এর আগে বেঙ্গালুরুর হয়েই করেছিলেন মানিস পান্ডে (১১৪*)। আর পাঞ্জাব কিংসের হয়ে করেছিলেন পল ভলথাতি (১২০*)।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন দেবদূত। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কোহলি। তাতে পাওয়ার প্লেতেই আসে ৫৯ রান। ১০ ওভার না যেতেই ৯.৪ ওভারে শতক পূর্ণ করে দলটি। তাতে জয়টা অনেকটাই হাতের মুঠোয় চলে আসে। কিন্তু তারপরও থামেনি এ দুই ওপেনারের আগ্রাসন। লক্ষ্যে পৌঁছায় ১৬.৩ ওভারেই।

শেষ পর্যন্ত ১০১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন দেবদূত। ৫২ বলের ইনিংসটি সাজাতে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার। ৫১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এ ব্যাটসম্যান ফিফটি স্পর্শ করেছিলেন ২৭ বলে। আর ৩৪ বলে ফিফটি স্পর্শ কোহলি খেলেন হার না মানা ৭২ রানের ইনিংস। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের সূচনাটা ভালো হয়নি। মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে পড়ে দলটি। দুই বিদেশি জস বাটলার ও ডেভিড মিলারকে শুরুতেই ছাঁটাই করেন এ পেসার। ফলে ১৮ রানেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২৫ রান যোগ হতে ফিরে যান অধিনায়ক সাঞ্জু সামসনও। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি।

চতুর্থ উইকেটে রায়ান পরাগের সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন শিভাম দুবে। ৫৬ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। লেজ ছাঁটাই করেন হার্শাল প্যাটেল। তবে রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রান সংগ্রহ করতে পারে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন দুবে। ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করেন তেওয়াতিয়া। ২৫ রান করেন পরাগ। বেঙ্গালুরুর পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন সিরাজ। ৩টি উইকেট পেয়েছেন হার্শালও। তবে কিছুটা খরুচে ছিলেন তিনি। রান দিয়েছেন ৪৭টি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago