হামলার পর ‘পটুয়াখালীবাসী’র সেই ইফতার আয়োজন বন্ধ
‘পটুয়াখালীবাসী’ সংগঠনের উদ্যোগে দ্বিতীয় রোজা অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল থেকে চালু হওয়া গরিব, দুঃস্থ ও দিনমজুরদের জন্য ইফতার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের নেতৃত্বে গত ২০ এপ্রিল সার্কিট হাউজ এলাকায় ‘পটুয়াখালীবাসী’র আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রায়হানের ওপর হামলার পর থেকে ইফতার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভালো একটি কাজ শুরু করেছিলাম। সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার লোকজনের কাছ থেকে বেশ সাড়াও পেয়েছিলাম। কিন্তু, প্রতিবন্ধকতা থাকায় আর চালু রাখতে পারলাম না। বন্ধ করে দিতে হলো।’
‘ইফতার আয়োজনের জন্য যারা অনুদান দিয়েছিলেন, তাদের অর্থ ফেরত দিয়ে দেব’, বলেন রায়হান।
এদিকে, রায়হানের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর জানিয়েছিলেন, রায়হানের ওপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সে যেন খারাপ ছেলেদের প্রশ্রয় না দেয়, সেটা বলা হয়েছিল।
হামলা চালিয়ে ‘পটুয়াখালীবাসী’র ইফতার বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলেও, এবার পটুয়াখালী শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠন নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে রমজান মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়। শহরের চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইফতারির প্যাকেট ও পানি সাজিয়ে বিতরণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বলেন, ‘চলমান লকডাউনে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষগুলো যেন ইফতার সামগ্রী পেতে পারেন, সেজন্য জেলা ছাত্রলীগের এই উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন:
গরিবের ইফতার আয়োজক রায়হানকে মারধরের অভিযোগ জেলা আ. লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে
Comments