বাংলাদেশের হতাশার সেশন

Dimuth Karunaratne, Dhananjaya de Silva, Taskin Ahmed
ছবি: এসএলসি

উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। তবু ভাল লাইন লেন্থে বল রাখলে ব্যাটসম্যানদের চেপে রাখা যাচ্ছিল। সেই কাজটা সবচেয়ে ভাল করলেন তাসকিন আহমেদ। দুর্ভাগ্য তার, উইকেট ধরা দিল না আর। বাকিরা তাসকিনের এনে দেওয়া চাপও জারি রাখতে পারেননি। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদেরও তাই আটকানো যায়নি।

৩ উইকেটে  ৩৩১  রান নিয়ে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছে শ্রীলঙ্কা। এদিন সকালের সেশনে খেলা হয়েছে ৩১   ওভার। তাতে লঙ্কানরা তুলে  ১০২ রান। ১১তম সেঞ্চুরি তুলে ১৩৯ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ফিফটি তুলে সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা খেলছেন  ৭৪  রানে।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ধনঞ্জয়া-করুনারত্নে যোগ করে ফেলেছেন ১৪১ রান।

দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নিয়েই দারুণ বল করেন তাসকিন, উইকেট পাওয়ারও খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন বার দুয়েক। তবে আরেক প্রান্তে আবু জায়েদ রাহি আগের দিনের মতো এদিনও ছিলেন বিবর্ণ। তাসকিনের আনা চাপ সরল দ্রুতই।

ক্রমেই জড়তা কাটিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটলেন দিমুথ করুনারত্নে- ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। নিরানব্বুইর ঘরে অনেকক্ষণ আটকে থাকা লঙ্কান অধিনায়ক পরে সেঞ্চুরি পেয়ে যান অনায়াসে।

রাহি ভাল বল করতে পারেননি, উলটো তার বলে খামাখা নষ্ট হয়েছে একটা রিভিউ। ইবাদত হোসেন সকালের তাইজুল ইসলামের সঙ্গে বোলিং শুরু করেছিলেন। গতির ধার রেখে এদিনও বল করেছেন ধারবাহিকভাবে। তবে সতর্ক চোখে তার বলগুলো সামলানো কঠিন হচ্ছিল না লঙ্কানদের।

তৃতীয় দিন বিকেলে উইকেটে কিছু টার্ন দেখা গেলেও চতুর্থ দিন এসে তাও উধাও। ব্যাটিংয়ের জন্য তেমন কোন চ্যালেঞ্জই নেই। চাইলেই টিকে থাকা যায় এমন উইকেটে পরে রানের গতিও বাড়াতে থাকেন তারা।

দুই স্পিনার তাইজুল আর মেহেদী হাসান মিরাজকেও ম্লান দেখে নিজে বল হাতে নিয়ে ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। লাভ হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের শরীরী ভাষায় যেন কিছুটা নেতিয়ে পড়ে।

ম্যাচের পরিস্থিতি বলছে বাংলাদেশের বড় রানের জবাবে একই রকম বিশাল পুঁজির পথে স্বাগতিকরাও। এই টেস্টে ফল বের হওয়া তাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৪১/৭

শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ১০৪ ওভারে  ৩৩১/৩(করুনারত্নে ১৩৯*, থিরিমান্নে ৫৮, ওশাদা ২০, ম্যাথিউস ২৫, ধনঞ্জয়া ৭৪*; আবু জায়েদ ০/৩৬, তাসকিন ১/৫৩, ইবাদত ০/৫৮, মিরাজ ১/৭৮, তাইজুল ১/৮৯, মুমিনুল ০/৮)।

Comments

The Daily Star  | English
Banks income from investment in bonds

Bond boom contributes half of bank income

The 50 banks collectively earned Tk 39,958 crore from treasury bonds in 2024, up from Tk 27,626 crore in the previous year, according to an analysis of their audited financial statements.

13h ago