বায়ার্নের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করল মেইনজ
জিতলেই বুন্দেসলিগায় টানা নবম শিরোপা ঘরে তোলা নিশ্চিত। বায়ার্ন মিউনিখ হয়তো উৎসবের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু সহজ সমীকরণে বাধ সাধল এফএসভি মেইনজ। পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা দলটি চমক দেখিয়ে হারিয়ে দিল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
শনিবার রাতে নিজেদের মাঠে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে মেইনজ। ম্যাচের শুরুতেই জোনাথান বারকার্ডট স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবিন কুয়াইসন। শেষ বাঁশি বাজার কিছু আগে ব্যবধান কমান চোট কাটিয়ে ফেরা রবার্ত লেভানদভস্কি। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি সফরকারীদের।
গত জানুয়ারিতে বুন্দেসলিগায় দুদলের প্রথম দেখাতে হয়েছিল রোমাঞ্চকর লড়াই। সেদিন প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেইনজ। নিজেদের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বায়ার্ন। বাভারিয়ানরা ম্যাচটা জিতেছিল ৫-২ গোলে। এবার অবশ্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা সম্ভব হয়নি তাদের।
৩১ ম্যাচে শীর্ষে থাকা বায়ার্নের অর্জন ৭১ পয়েন্ট। মেইনজকে হারালে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরবি লাইপজিগের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শিরোপা উদযাপন করত তারা। কারণ, তারা বাকি থাকা ৩ ম্যাচ হারলে এবং লাইপজিগ বাকি থাকা ৪ ম্যাচ জিতলেও হেরফের হতো না পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর স্থানটির। ৩০ ম্যাচে লাইপজিগের পয়েন্ট ৬১।
ম্যাচে বল দখল আর আক্রমণে প্রাধান্য দেখালেও গোলের সুযোগ তেমন তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। তৃতীয় মিনিটেই তারা পড়ে পিছিয়ে। জোরালো ভলিতে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জাল খুঁজে নেন বারকার্ডট। দশম ও অষ্টাদশ মিনিটে পোস্ট বাঁচিয়ে দেয় বায়ার্নকে। ৩৭তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি মেইনজকে। কুয়াইসনের হেড ঠিকই জড়ায় জালে।
গোটা ম্যাচে নেওয়া ১৫টি শটের মাত্র চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বায়ার্ন। লেভানদভস্কি, লেরয় সানে ও এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংরা ছিলেন নিষ্প্রভ। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আসে সফলতা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে লিগে নিজের ৩৬তম গোলটি করেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদভস্কি। তবে মেইনজের জয়ের পথে তা বাধা হয়নি।
Comments