ঝালকাঠিতে আগুনে পুড়ে গেছে শীতলপাটির কাঁচামালের বাগান

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের পূর্বকামদেবপুর গ্রামে শীতল পাটি তৈরির কাঁচামাল পাইত্রা বাগান আগুন পুড়ে গেছে। দুষ্কৃতকারীরা এই আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগানের মালিক ও স্থানীয় শীতলপাটি শিল্পীরা।
ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের পূর্বকামদেবপুর গ্রামে শীতল পাটি তৈরির কাঁচামাল পাইত্রা বাগান আগুন পুড়ে গেছে। দুষ্কৃতকারীরা এই আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগানের মালিক ও স্থানীয় শীতলপাটি শিল্পীরা।

আজ রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই গ্রামের শীতলপাটি শিল্পী বাবুল দত্ত।

তিনি জানান, রবিবার দুপুরে হঠাৎ পাইত্রা বাগান থেকে ধোয়া দেখা যায়। পরে আগুন নেভানোর অনেক চেষ্টা করেও বাগান বাঁচানো যায়নি। আগুন ও ধোয়ায় পাইত্রা বাগানের অধিকাংশ গাছ পুড়ে ও মরে গেছে। এতে, অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বাগানের মালিক বিবেকানন্দ পাটিকর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুই একর বাগানের প্রায় হাজারখানেক গাছ পুড়ে গেছে। এমনিতেই লকডাউন ও করোনার কারণে শীতলপাটি বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে। এরপরে বাগান পুড়ে যাওয়ায় কাঁচামাল সংকটের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে কেউ হয়তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’

স্থানীয় শীতলপাটি শিল্পীরা জানান, এই গ্রাম ও পাশের গ্রাম মিলিয়ে অন্তত ৫০ ঘর শিল্পী পরিবার আছে। যাদের প্রধান পেশা শীতলপাটি তৈরি করা। বংশ পরম্পরায় তারা শীতলপাটি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। বাগান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবিকা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

শীতলপাটি শিল্পীদের আয়ের উৎস পাটি তৈরির কাঁচামাল পাইত্রা বাগানে আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিভাগীয় পাটিকর সমিতির সভাপতি রণজিৎ দত্ত ও উপদেষ্টা রফিকুল আলম। তারা এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

স্থানীয় মোল্লারহাট ইউপির চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার কাছেও এটি দুষ্কৃতিকারীদের কাজ বলে মনে হচ্ছে। আগামীকাল ক্ষতিগ্রস্ত বাগানের মালিককে নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে নলছিটি থানায় যাব।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago