পটুয়াখালীতে কলেরার প্রাদুর্ভাব
ডায়রিয়া পরিস্থিতির মধ্যেই পটুয়াখালীতে কলেরা জীবাণুর সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সর্বাধিক ডায়রিয়া কবলিত মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীর পানি ও কয়েকজন রোগীর মল পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হয় আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দল।
আজ সোমবার পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম শিপন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, প্রতিনিধি দলটি উপজেলার পায়রা নদীসহ কয়েকটি নদীর পানি পরীক্ষা করেছে এবং এতে মানুষের মলের অস্তিত্ব পেয়েছে। মলে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছয় জন ডায়রিয়া রোগীর মল পরীক্ষা করে আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দলের বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে দুজন রোগীর মলে তারা কলেরার জীবাণু শনাক্ত করেছেন।
সিভিল সার্জন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের এখনই এ বিষয়ে অধিকতর সচেতন হতে হবে। খাল, নদ-নদীর পানি ব্যবহার করা যাবে না।’
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জন ডায়রিয়া রোগী পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ আটটি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৬৭ জন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৬ জন, গলাচিপায় ২২ জন, বাউফলে ১৫ জন, দশমিনায় ২৩ জন, দুমকীতে ১৪ জন, কলাপাড়ায় ১৮ জন ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা হাসপাতালে ছয় জন।
গত এক সপ্তাহে জেলায় মোট এক হাজার ৮৭৯ জন এবং গত এক মাসে চার হাজার ৯৯৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ডায়রিয়ায় মারা গেছে চার জন।
আরও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩১৩ জন
বরিশালে ডায়রিয়া বাড়ার কারণ নদী, খালের পানিতে কলেরা জীবাণু: আইইডিসিআর
Comments