রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার হওয়ার দুর্ভাবনা নেই জিদানের

তার সমস্ত মনোযোগ মাঠে নিজেদের পারফরম্যান্সকে ঘিরে।
zidane
ছবি: রয়টার্স

বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে এখনও সরে দাঁড়ায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। সেকারণে জল্পনা-কল্পনা চলছে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার হতে পারে তারা। তবে দলটির কোচ জিনেদিন জিদান এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তার সমস্ত মনোযোগ মাঠে নিজেদের পারফরম্যান্সকে ঘিরে।

মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে চেলসিকে আতিথ্য দেবে রিয়াল। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

সুপার লিগ নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উয়েফা। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন সম্প্রতি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এখনও বিদ্রোহী প্রতিযোগিতাটিতে থেকে যাওয়া দলগুলোকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে স্প্যানিশ গণমাধ্যমের গুঞ্জন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেফারিদের প্রভাবিত করা হতে পারে এবং রিয়ালের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত যেতে পারে!

ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে জিদান বলেছেন, রেফারিং নয়, তার ভাবনায় প্রাধান্য পাচ্ছে মাঠের লড়াই, ‘মাঠে কী ঘটে সেটাই আমাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রেফারি তার কাজ করবে। আর আমরা কেবল ফুটবল খেলা নিয়েই ভাবছি। (গত কিছুদিনে) যা কিছু বলা হচ্ছে, সেসব নিয়ে যদি আমরা ভাবতে শুরু করি, যদি চিন্তা করি সবকিছু আমাদের বিপক্ষে যাবে এবং আমাদের শাস্তি পেতে হবে, তাহলে নিজেদের কাজে আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেলব।’

‘আমরা এই ম্যাচে ৯০ মিনিট লড়াই করব এবং বাকি কোনো বিষয়ে জড়াব না।‘

সেফেরিন আরও হুমকি দিয়েছেন, সুপার লিগে যুক্ত থাকা দলগুলোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে আগামী মৌসুমে রিয়াল সুযোগ পাবে না ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে? এমন প্রশ্নে জিদান যেমন বিস্মিত, তেমন বিরক্তও।

ফ্রান্সের সাবেক এই তারকা ফুটবলার বলেছেন, ‘অনেক কিছুই বলা হচ্ছে। এসবের মাঝে আমরা কেবল একটা কাজই করতে পারি, তা হলো আগামীকালের (মঙ্গলবার) ম্যাচে মনোযোগ দেওয়া। বাকি কোনো বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই এসব কথা চলতেই থাকবে। আমার মনে হয়, সবাই অবশ্যই আগামী মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখতে চায়।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago