যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ঢাকায় অবৈধ স্টাডি সেন্টার
‘লন্ডন স্কুল অব কমার্স ঢাকা (এলএসসি)’ নামে ঢাকায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনবিহীন একটি স্টাডি সেন্টারের খোঁজ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সরকার ও ইউজিসির অনুমোদনবিহীন এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে চলছিল।
এখান থেকে যুক্তরাজ্যের ওয়ারেহাম গ্লেন্ডওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ার এবং স্কটিশ কোয়ালিফিকেশন অথরিটি’র অধীনে বিভিন্ন ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছিল বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি জানায়, অবৈধ এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে একটি ওয়েবসাইট (www.lscdhaka.org/) চালু করে। সম্প্রতি এই ওয়েবসাইটে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ইউজিসির নজরে আসে। আগামী মে মাসে তারা আবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিল।
স্টাডি সেন্টারটির ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রাজধানীর গুলশান- ২ এর গুলশান সেন্টার এবং বনানীর ওশান টাওয়ারে এলএসসির দুটি অফিস রয়েছে। এ দুটি কেন্দ্র থেকে বিএ (অনার্স) বিজনেস স্টাডিজ, এমবিএ, ফাউন্ডেশন ইন বিজনেস এবং প্রফেশনাল ডিপ্লোমা ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছিল। এসব কোর্সের মেয়াদ আট মাস থেকে দুই বছর।
ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পার্টনার ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এলএসসি ঢাকা সাশ্রয়ী খরচে বিএ (অনার্স) এবং এমবিএর মতো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্সের ডিগ্রি দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পার্টনার ইউনিভার্সিটির যুক্তরাজ্য, মাল্টা, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকাসহ আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাসগুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ পাবেন।
এ ব্যাপারে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের এ ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুমোদনহীন স্টাডি সেন্টারটি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সৈয়দপুরে অস্তিত্বহীন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সতর্কতা এবং ‘আমেরিকান ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ’ বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল ইউজিসি।
Comments