হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ করোনা রোগীকে ধরে আনা হয়েছে

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর পালিয়ে যাওয়া ১০ জন কোভিড-১৯ রোগীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে সাত জন সম্প্রতি ভারত থেকে ফিরবার পর করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন।

সোমবার বিকেল থেকে রাত ২টার মধ্যে যশোর ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়।

তিনি বলেন, এদের সবাইকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এখানেই ডাক্তাররা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন এবং সুস্থ হলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ভারত থেকে করোনা সংক্রমিত হয়ে বেনাপোল হয়ে দেশে ফেরেন সাত জন। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রোগী হিসেবে ছিলেন তিন জন। এই ১০ জনই গত রোববার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ড বয়ের মাধ্যমে তিন তলায় করোনা রোগীদের পাঠানো হয়। কিন্তু তারা ওয়ার্ডে না থেকে পালিয়ে যান। 

সোমবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক করোনা রোগীদের পলায়নের কথা যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানান। রোগীরা যেসব জেলার বাসিন্দা সেই জেলাগুলোর ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জনকেও বিষয়টি জানানো হয়। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের যশোরে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সেদিনই তৎপরতা শুরু করে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পালিয়ে যাওয়া সবাইকে গতকাল রাতের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

তিনি জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাত রোগীর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্ব স্ব জেলা পুলিশের সহায়তায় তাদের অবস্থান বের করা হয়। রোগীদের অবস্থান শনাক্তের পর নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জনের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘এখানেই আমাদের ডাক্তাররা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।’

ধরে আনা ১০ রোগী

ভারত থেকে আসা সাত করোনা রোগী হলেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)।

অভ্যন্তরীণ রোগী তিন জন হলেন যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭)।

আরও পড়ুন:

পালানো ১০ করোনা রোগীর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ

Comments

The Daily Star  | English

NCP to announce 'July manifesto' on Aug 3: Nahid

Central NCP leaders held a rally in Bogura today as part of their month-long "July March to Build the Nation" rally

1h ago