বাগেরহাটে ২২ হাজার মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া অনিশ্চিত

বাগেরহাটে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ২২ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে তাদেরকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৫৪ হাজার ৭৮৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজারের বেশি এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অপেক্ষা করছেন।
বাগেরহাটে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ায় তারা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গতকাল বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নির্ধারিত দিনে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছিলেন জনৈক আলিমুজ্জামান। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। আজ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ ছিল। টিকা শেষ হওয়ার আগে আমাদের জানালে ভালো হতো।’
টিকা নিতে বাগেরহাট সদরের সায়েরা গ্রাম থেকে আসা অসিত দাস বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল। আমি হাসপাতালে এসে দেখলাম, টিকা দেওয়ার কক্ষে কেউ নেই। সামনে দাঁড়িয়ে রেড ক্রিসেন্টের একটি ছেলের কাছ থেকে জানতে পেলাম যে টিকা শেষ হয়ে গেছে। তারা আমাদের আগে জানিয়ে দিলে আমরা এমন হয়রানির শিকার হতাম না।’
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রথম ডোজ দিয়েছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ৫৪ হাজার ৭৮৪ জনকে টিকা দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে আমরা ৩৬ হাজার ডোজ পেয়েছি।’
‘আজ (বুধবার) সদর হাসপাতালে টিকা শেষ হয়েছে। আমরা একটি ব্যানারে “টিকা শেষ হয়েছে” লিখে টাঙিয়ে দেব,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে না পেরে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এটি কয়েক দিন পর গ্রহণ করলেও কোনও সমস্যা নেই। সরকার প্রদত্ত টিকা শেষ হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খুব শিগগির কিছু নতুন ডোজ পাব। আশা করি, তখন সবাইকে টিকা দিতে পারব।’
Comments