আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়: কামিন্স

ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া কি যৌক্তিক? এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
Pat Cummins

ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া কি যৌক্তিক? এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। অনেকের চাওয়া, আপাতত বন্ধ করে দেওয়া উচিত এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স সেই দাবিতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও তিন হাজার ৬৪৫ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন দুই লাখ চার হাজার ৮৩২ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮১৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে ও বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

কামিন্সের মতে, আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া ভারতে করোনার বর্তমান চিত্রের উন্নতিতে কোনো সাহায্য করবে না। দেশটির গণমাধ্যম ডব্লিউআইওএনকে তিনি বলেছেন, বরং বিনোদনের মাধ্যম হওয়ায় এই প্রতিযোগিতাটি মানুষকে ঘরে রাখতে ভূমিকা পালন করছে, ‘একটা বিষয় হলো, প্রতি রাতে আমাদের এই তিন-চার ঘন্টার খেলা মানুষের আরও বেশি ঘরে থাকায় ভূমিকা রাখছে কিংবা তাদেরকে প্রতি দিনের কঠিন সময় পার করতে সাহায্য করছে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আর আমি মনে করি, আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।’

হাসপাতালে অক্সিজেন ঘাটতির জন্য ভারতে আক্রান্ত অনেকের মৃত্যু ঘটছে। এমন মর্মস্পর্শী পরিস্থিতিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কামিন্স। হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে তিনি দিয়েছেন ৫০ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ রুপি)। এতে সকলের বাহবা কুড়িয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।

প্রশংসা পেয়ে অভিভূত কামিন্স আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে এগিয়ে আসার, ‘অল্প কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করেছি এবং তাতে ক্রিকেটারদের ও ক্রিকেটের বাইরের লোকদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা বিশাল। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি মোটেও আদর্শ নয়। তাই আমাদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করা উচিত।’

Comments

The Daily Star  | English

12th national elections: 731 of 2,716 nominations rejected

Nomination papers rejected mainly for three reasons, says EC joint secretary

1h ago