প্রথম টেস্টের প্রতিচ্ছবি দেখছে বাংলাদেশ
বোলারদের চরম হতাশার দিনশেষে দলের হয়ে কথা বলতে এলেন ব্যাটিং কোচ জন লুইস। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের তালগোল পাকানোরই যেন প্রতীকী দৃশ্য হলো তা। তার কথায় দলের পারফরম্যান্স থেকে উইকেটের প্রতি অসহায়ত্বই ঝরল বেশি।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেটে ২৯১ রান করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। খুব আহামরি বল না করলে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকদের বড় রানেই চড়ার কথা।
সকালে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে সতর্কভাবে এগোয় লঙ্কানরা। স্বাগতিক দুই ওপেনারকে চেপে ধরে বাংলাদেশের পেসাররাও শুরুটা এনেছিলেন ভাল। কিন্তু বাকি দিন দিয়েছে ভিন্ন ছবি।
টস জিতলে বাংলাদেশও ব্যাটিং নিত বলে জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে লুইস জানালেন, উইকেটের যদি এই অবস্থাই থাকে তাহলে টসটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ হবে না এবারও, ‘উইকেট যদি প্রথম টেস্টের মতো হয় তাহলে সম্ভবত এটা (টস) প্রভাবক হচ্ছে না। পিচ খুব একটা বদলায়নি। আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কা বোলারদের জন্য এই উইকেট আরেকটু ভাঙ্গবে ভেবেছিল। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বাকি কদিন উইকেট কেমন থাকে।’
ব্যাটসম্যানদের জন্য আরেকটি সহায়ক কন্ডিশনেও তাসকিন আহমেদ তৈরি করেছিলেন সুযোগ। ২০তম ওভারে তার বলে ২৮ রানে থাকা দিমুথ করুনারত্নের ক্যাচ ফেলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জীবন পেয়ে পরে আরও ৯০ রান যোগ করে ১১৮ রান করে আউট হন লঙ্কান অধিনায়ক। লুইস মনে করেন এই ধরণের উইকেট বলেই সুযোগটা ছিল মহামূল্যবান, ‘আজ খুব বেশি সুযোগ আসেনি। এমনকি দুই টেস্টই একই অবস্থা। সুযোগ তৈরি করা কঠিন হচ্ছিল। বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগ লুফে নেওয়া তাই গুরত্বপূর্ণ।’
ম্যাচ ও উইকেটের যা অবস্থা দ্বিতীয় দিনেও বিপুল খাটুনি অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের। লম্বা সময় ফিল্ডিং করার মানসিক প্রস্তুতি তাই নিয়ে নেওয়াই ভাল বলে মত লুইসের, ‘আমাদের তৈরি থাকতে হবে। আমার মনে হয় এটা প্রথম টেস্টের প্রতিচ্ছবি। উইকেট ভালো ছিল, আমরা চাপ তৈরি করেছিলাম, শ্রীলঙ্কা তা সামলে ভালভাবে এগিয়ে গেছে। আমরা শিখে নিজেরাও কাজে লাগাব। মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা বড় রান করবে। আমাদের আরও দুই সেশন ফিল্ডিং করতে হতে পারে। আমাদেরও ব্যাটসম্যান আছে যারা প্রথম টেস্টে পারফর্ম করেছে।’
দিনের একমাত্র উইকেট পান অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। সেঞ্চুরি করা করুনারত্নকে ক্যাচ বানান উইকেটের পেছনে। খুব সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও কঠিন পরিস্থিতিতে বোলারদের ঘাটতি দেখছেন না বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ, ‘এটা হতাশাজনক (মাত্র ১ উইকেট ফেলা)। বোলারদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু বোলিংয়ের জন্য এখানে (উইকেটে) কিছু নেই। এই সিরিজে আমরা পাঁচ বোলার খেলাচ্ছি। উইকেটের ধরণের হিসেবে সেটা ভাল সিদ্ধান্ত।’
‘এখানকার আবহাওয়া খুব উত্তপ্ত। এরমধ্যেও বোলাররা তাদের কাজ করে গেছে। বিশেষ করে কম অভিজ্ঞতা থাকা পেসাররা ভাল বল করেছে।’
Comments