আবারও ব্যর্থ নারিন, হারল কলকাতা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/prithvi-shaw-2.jpg?itok=QSd0zvTn×tamp=1619716358)
শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাদামাটা একটা লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই নিয়ে জয় পেতে প্রয়োজন ছিল বোলারদের কাছ থেকে দারুণ কিছু। কিন্তু তাদের নির্বিষ বোলিংয়ে উল্টো পৃথ্বী শর আগ্রাসনে পড়ে দলটি। তাতে কলকাতাকে সহজেই হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরে আসে দিল্লি ক্যাপিটালস।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জবাবে ২১ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারতের রাজধানীর দলটি।
টানা চার ম্যাচ হারের পর আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছিল কলকাতা। কিন্তু তা স্থায়ী হলো এক ম্যাচই।
এ ম্যাচে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসানের জায়গায় খেলতে নামা ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারিন। টানা চার ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ এ ক্যারিবিয়ান এদিন প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন লালিত যাদবের বলে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য করলেন তিনি। চলতি আসরে চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত রান করতে পেরেছেন মাত্র ১০।
তবে আগের তিন ম্যাচে দারুণ বোলিং করে জায়গা পাকা করে রেখেছিলেন নারিন। এদিন সেটাও করতে পারেননি। ৪ ওভার বল করে উইকেটশূন্য খরচ করেছেন ৩৬ রান। ফলে পরের ম্যাচে সাকিবের ফেরার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হলো।
লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী দিল্লি। শিভাম মাভির প্রথম ওভারের ছয়টি বলেই বাউন্ডারি মারেন পৃথ্বী শ। আর একটি ওয়াইড দেওয়ায় প্রথম ওভার শেষেই দলের রান ২৫। তবে কিছুটা দেখে শুনে ব্যাট করেন আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ান। তবে পৃথ্বীর তোপেই পাওয়ার প্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৬৭ রান।
শেষ পর্যন্ত ১৩২ রান করে থামে এ জুটি। ধাওয়ানকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। স্কোরবোর্ডে আর ১৪ রান যোগ হতে পৃথ্বীকেও তুলে নেন এ অজি পেসার। পান অধিনায়ক রিশাভ পান্তের উইকেটও। কিন্তু এর আগেই ম্যাচ হেলে পড়ে দিল্লির দিকে। ফলে বাকী কাজটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা শিমরন হ্যাটমায়ারকে নিয়ে শেষ করেন অস্ট্রেলিয়ান মার্কাস স্টয়নিস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। ৪১ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। ৪৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন ধাওয়ান। কলকাতার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন কামিন্স।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে ওপেনার নিতিশ রানাকে হারায় কলকাতা। এরপর শুভমান গিলের সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠির ৪৪ রানের জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু এরপর মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে চার জন ব্যাটসম্যানকে হারালে বড় চাপে পড়ে যায় তারা। এরমধ্যে দুই বিদেশি অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যান ও নারিন ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই।
এরপর দিনেশ কার্তিককে নিয়ে দলের হাল ধরেন ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল। ২৭ রান জুটি গড়ে ফিরে যান কার্তিক। পরে কামিন্সকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রাসেল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাসেল। ২৭ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন গিল। দিল্লির পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন লালিত। ৩২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান অক্ষরও।
Comments