ফরিদপুরে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু, স্বজনের দাবি নির্যাতনে হত্যা
ফরিদপুরে পুলিশ হেফাজতে মো. আবুল হোসেন (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আবুল হোসেনের বাড়ি সালথা উপজেলার গোপালদী গ্রামে। তার বাবার নাম ঈমান উদ্দিন। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২৮ এপ্রিল তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক ছিলেন না। ৫ এপ্রিল যখন সালথায় সহিংসতার ঘটনার ঘটে তখন আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন।’
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আবুল হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আজ ভোর ৫টার দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। বাথরুমে যেতে চাইলে তাকে রেখে আসা হয়। দীর্ঘ সময় কোনো সাড়া না পেয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেখেন, আবুল হোসেন মেঝেতে পড়ে আছেন। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে পুলিশ আবুল হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আবুল হোসেন অপরাধী ছিলেন না, ভালো মানুষ ছিলেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না।’
যোগাযোগ করা হলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলীমুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তারের ৩ ঘণ্টা পর আসামির মৃত্যু, ‘নির্যাতনের’ দাবি পরিবারের
Comments