নাসিরের পর তামিমের ‘আক্ষেপ’

Tamim Iqbal
ফাইল ছবি

প্রভিন জয়াবিক্রমার বলে দুবার শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। কিন্তু তৃতীয়বারে আর রক্ষা পাননি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনার। শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার জয়াবিক্রমারই শিকার হন তিনি। সিরিজে এই নিয়ে দুবার নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়ে তিনি ফিরিয়ে আনলেন নাসির হোসেনের স্মৃতি।

শনিবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে তামিম সাজঘরে ফেরেন ৯২ রানে। ঠিক আগের বলেই বিদায় নিতে পারতেন তিনি। জয়াবিক্রমার আগের ওভারেও জীবন পান তিনি। তখন তিনি ছিলেন ৯১ রানে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।

বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের একই সিরিজে দুবার নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হওয়ার নজির এতদিন ছিল কেবল একটি। ২০১২ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল নাসিরকে। বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার ঢাকায় প্রথম টেস্টে করেছিলেন ৯৬ রান। চট্টগ্রামে পরের টেস্টে তিনি থেমেছিলেন ৯৪ রানে।

প্রায় সাড়ে আট বছর পর বিদেশের মাটিতে নাসিরের সঙ্গী হলেন তামিম। একই ভেন্যুতে আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাজে শট খেলে তিনি আউট হন ৯০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও হেসেছিল তার ব্যাট। শেষ দিনে বৃষ্টিতে আর খেলা না হওয়ায় ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে যেতে হয় তাকে। এদিন আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় এই সংস্করণে দশম সেঞ্চুরি অধরা থেকে গেল তার।

ওভার দ্য উইকেটে গিয়ে অ্যাঙ্গেল কাজে লাগিয়ে তামিমকে বিদায় করেন জয়াবিক্রমা। বল তার ব্যাটের বাইরের দিকে লেগে চলে যায় স্লিপে। লাহিরু থিরিমান্নে বল লুফে নিতে ভুল করেননি। তামিমের ১৫০ বলের ইনিংসে চার ছিল ১২টি। শুরুতে আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পরে খেলেন টেস্ট মেজাজে। ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটিতে তিনি পৌঁছান মাত্র ৫৭ বলে। এটি তার সবমিলিয়ে টানা চতুর্থ ও চলতি সিরিজে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।

মাঠ ছাড়ার আগে উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৯৮ রান যোগ করেন তামিম। নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে তিনি সঙ্গী হিসেবে পান অধিনায়ক মুমিনুল হককে। ওই জুটিতে আসে ৫২ রান।

চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত খেলা তিন ইনিংসে আক্রমণাত্মক ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী মিলেছে তামিমের কাছ থেকে। বলের মান বুঝে স্ট্রেইট ড্রাইভ, অন ড্রাইভ, অফ ড্রাইভ ও স্কয়ার কাটে বাউন্ডারি আদায় করেছেন তিনি।

তবে এদিন কিছুটা সময়ের জন্য ঝুঁকি নিতে দেখা যায় তামিমকে। প্রথম সেশনে পেসারদের বিপরীতে দেখেশুনে খেললেও স্পিনাররা আক্রমণে গেলে অধৈর্য হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে। টাইমিংয়ে গড়বড় হলেও তখন ফাঁকা জায়গায় বল পড়ায় বিপদ ঘটেনি। তবে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপই সঙ্গী হয় তার।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

5h ago