লিটন-মিরাজের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ দল

পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হার কেবল সময়ের ব্যাপার।
bangladesh test
ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হার কেবল সময়ের ব্যাপার। অতীত পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে এই ভবিষ্যদ্বাণী জুতসই মনে না হওয়ার কারণ নেই।

বাংলাদেশ দারুণ কিছু করে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলবে- এমন দাবি করেননি চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্তও। আপাতত সফরকারীদের ভাবনায় রয়েছে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ দিনের প্রথম সেশন কাটিয়ে দেওয়া। এরপর হবে পরবর্তী পরিকল্পনা! আর সেজন্য অপরাজিত থাকা দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজের দিকে তাকিয়ে তারা।

রবিবার ৪৩৭ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে তুলেছে ১৭৭ রান। চতুর্থ দিনের খেলার ১২ ওভার বাকি থাকতে আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। লিটন ৩৯ বলে ১৪ ও মিরাজ ২২ বলে ৪ রানে ক্রিজে আছেন। দলের স্বীকৃত বাকি ব্যাটসম্যানরা ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন সাজঘরে। উইকেটে নামার অপেক্ষায় আছেন শুধু চার বোলার।

৫ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই আরও ২৬০ রান। সারাদিন মাটি কামড়ে পড়ে থেকে উইকেটে কাটিয়ে দিতে পারলে মিলবে ড্র। তবে স্পিনের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠা উইকেটে এসব ইতিবাচক সমীকরণের চেয়ে মুমিনুল হকদের বেশি হাতছানি দিচ্ছে বড় হার।

আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান শান্তর কণ্ঠে আকারে-ইঙ্গিতে যেন প্রতিধ্বনিত হলো সেই সুর, ‘এখনও দুইজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করছে। এই পরিকল্পনাই থাকবে যে, দুইজন ব্যাটসম্যান যতক্ষণ ব্যাটিং করতে পারে, আমাদের জন্য ভালো। প্রথম দুইটা ঘণ্টা, প্রথম সেশন যদি আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে পরবর্তীতে ভালো কিছু চিন্তা করতে পারব।’

৩৭ রানে শেষ ৭ উইকেট খুইয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৫১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে সাগতিক লঙ্কানরা পেয়েছিল ২৪২ রানের বিশাল লিড। দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার আগে মারমুখী ব্যাটিংয়ে সেটা আরও বাড়িয়ে নেয় দিমুথ করুনারত্নের দল।

ভালো অবস্থানে পৌঁছেও তা কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা পোড়াচ্ছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্তকে, ‘প্রথম ইনিংসে আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। ওখানে আমরা একটু পেছনে পড়ে গেছি। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। ৩ উইকেটে ২০০ রানের মতো ছিলাম। ওখান থেকে পরে আর জুটি হয়নি। ঐ জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago