‘জানি সমালোচনা হবে, অনেকে অনেক কথা বলবে’

লড়াইবিহীন টেস্ট হারের পরও এই সিরিজ থেকে প্রাপ্তির কমতি দেখছেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক।
Mominul Haque
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিষ্প্রাণ উইকেটে প্রথম টেস্ট ড্র করার পর সাফল্যের আলোয় ভাসছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু  দ্বিতীয় টেস্টে উইকেটে স্পিনারদের রসদ থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফেরেন পুরনো রূপে। লড়াইবিহীন টেস্ট হারের পরও এই সিরিজ থেকে প্রাপ্তির কমতি দেখছেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক।

পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ হারে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ৪৯৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মুমিনুলরা গুটিয়ে যান মাত্র ২৫১ রানে। বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে তারা আবার ব্যাট করে আরও ১৯৪ রান যোগ করে।

বাংলাদেশের সামনে তাই ছিল ৪৩৭ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য। ম্যাচ বাঁচাতেও লাগত পাঁচ সেশন টিকে থাকা। কিন্তু সফরকারীরা টিকতে পারেনি তিন সেশনও। ৭১ ওভার ব্যাট করে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে।

বাংলাদেশকে ধসিয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট পান অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা।

ড্র দিয়ে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারই হয়েছে সঙ্গী। তবে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল মনে করছেন হারলেও প্রাপ্তির খাতা একেবারে শূন্য নয়, ‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে সব কিছু হেরে গিয়েছি। আমি জানি একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’

প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়া আর তাসকিন আহমেদের বোলিং মুমিনুলের খাতায় প্রাপ্তি, ‘প্রথম টেস্টে আমি যেটা সব সময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব। যেটা আমরা শেষ ২-১টি টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি। ’

‘আপনি  যদি দেখেন তামিম ভাইর দুইটা নম্বুই (৯০ ও ৯২) আছে, একটা ৭০ (৭৪) আছে। শান্তর একটা ১৬৩ আছে, মুশফিক ভাই ও লিটনের হাফ সেঞ্চুরি আছে। তাইজুলের ৫ উইকেট আছে। আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন এটার কোন পেসার কি কিছু করতে পারছে কিনা, সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক আছে এই টেস্ট সিরিজে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago