অভিষিক্তদের বিপক্ষে কেন অপ্রস্তুত থাকে বাংলাদেশ?
অভিষেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে আলো ছড়ানো ক্রিকেটারের সংখ্যা অনেক। এলেন, খেললেন এবং জয় করলেন- সাম্প্রতিক সময়েও এমন দুটি তাজা উদাহরণ সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারিয়েছিলেন, এবার দেখা গেল অভিষেকেই ১১ উইকেট নিয়ে মুমিনুল হকদের কাবু করলেন প্রাভিন জয়াবিক্রমা। গড়লেন একটি বিশ্বরেকর্ডও।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ২৫১ রানে ধসিয়ে দিতে বাঁহাতি স্পিনার জয়াবিক্রমা নেন ৯২ রানে ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আটকে দেন ২২৭ রানে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতে ২০৯ রানে বড় ব্যবধানে।
ম্যাচে ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নিয়ে একটা অনন্য রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন জয়াবিক্রমা। শ্রীলঙ্কার হয়ে টেস্ট অভিষেকে তিনিই সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার। এর আগে আকিলা ধনঞ্জয়া অভিষেকে ৮৮ রানে পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। সেই রেকর্ডটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
জয়াবিক্রমা নাম লেখিয়েছেন একটি বিশ্বরেকর্ডেও। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে তারচেয়ে বেশি উইকেট আরও চারজনের থাকলেও বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তিনিই সবার উপরে।
কেন বারবার এমনটা হয়? বাংলাদেশ অধিনায়ক ম্যাচ শেষে জানালেন অভিষিক্তদের বিপক্ষে নিজেদের ভালো করতে না পারার সরল স্বীকারোক্তি, ‘যত ভালো ব্যাটসম্যানই আসুক যদি তাকে ঠিক জায়গায় বল করতে না পারেন কিংবা যত ভালো বোলারই আসুক যদি বলের মান অনুযায়ী খেলতে না পারেন তাহলে দিন শেষে সে-ই সফল হবে, যেটা আমি অনুভব করি।’
বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক স্বীকার করে নেন নতুনদের ব্যাপারে জানার ঘাটতিই ভোগায় বাংলাদেশকে, ‘ভিডিও অ্যানালিস্ট তো অবশ্যই সব ব্যাপারে সহায়তা করে। যারা নতুন আসে তাদের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। সেটা আমার ক্ষেত্রেও ছিল। নতুন যারা আসে তাদের ব্যাপারে জানার ঘাটতি থাকে। আমার মনে হয়, নতুন যেই আসুক তার জন্য ভালো বল, ভালো বলই, খারাপ বল খারাপই।’
Comments