জার্মান দূতাবাসের কাছে স্টুডেন্ট ভিসা জরুরি ও বিশেষ সেবা বিবেচনার আবেদন শিক্ষার্থীদের
লকডাউনের কারণে দেশে আটকে পড়া জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসাকে জরুরি ও বিশেষ সেবা হিসেবে বিবেচনা করতে ঢাকার জার্মান দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
বিভিন্ন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও ফেলোশিপ পাওয়া অন্তত এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভিসা জটিলতার কারণে জার্মানিতে যেতে পারছেন না বলে তারা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও ঢাকার জার্মান দূতাবাসকে এ আবেদন বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জার্মানির ওটিএইচ অ্যাম্বারজেন ওয়েডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এখন বাংলাদেশে আটকে আছেন।’
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা এখন অনলাইনে ক্লাসে যোগ দিতে পারেন। তবে, বিভিন্ন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের পরের সেমিস্টারে ক্লাসে সরাসরি উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। এজন্য চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে তারা সহজেই জার্মানি যেতে পারবেন। অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে তাদের টিউশন ফি জমা দিয়েছেন। তারা যেতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে পারে।
নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর জুনে ভিসা সাক্ষাৎকার এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্যে জার্মান দূতাবাসে কেবল ১৫০ জনের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এরপর প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ভিসা পাননি।’
বাংলাদেশে লকডাউনের কারণে জার্মান ভিসা দেওয়ার কাজ বন্ধ থাকলেও, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কাজ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Comments