খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে কিনা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
Khaleda Zia Final.jpg
খালেদা জিয়া। স্টার ফাইল ছবি

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে কিনা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারকে এ বিষয়ে (চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো) আদালতে আসতে হতে পারে। কারণ সরকার এটি (জেল সাজা স্থগিত করেছে) ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ এর অধীনে করেছে। তবুও, প্রাসঙ্গিক দলিল ও আইন না দেখে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘তার (খালেদা) জন্য কী চিকিত্সা প্রয়োজন এবং দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্ভব কিনা তা সহ সব বিষয় বিবেচনা করেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নেবে।’

শ্বসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় গতকাল দুপুর ২টায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদার পরিবারের কোনো আবেদনের কথা নাকচ করেছেন তিনি।

গত ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার পর ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুরুতে তিনি গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এরপর, ২৭ এপ্রিল আবার সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানান তার চিকিৎসক। দিবাগত সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় বন্দী ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপরই গত বছর ২৫ মার্চ দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।

আরও পড়ুন:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়া সিসিইউতে

Comments

The Daily Star  | English

'No justice in either country': Rohingya refugees face looting on both sides of the border

The most recent arrivals are staying with the relatives at the camp sharing their limited daily rations provided by the UN agencies.

2h ago