হেফাজতের ৫ মে’র তাণ্ডব ‘বড় ঘটনা’ বলে তদন্তে ৮ বছর লেগেছে: ডিবি

হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের ৫ মে’র তাণ্ডব একটি ‘বড় ঘটনা’ এবং এ কারণে এর ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ যাচাই-বাছাই করতে এবং সাক্ষ্যগ্রহণে প্রায় আট বছর সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
hefajat mahyem 2013.jpg
হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের ৫ মে’র তাণ্ডব। স্টার ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের ৫ মে’র তাণ্ডব একটি ‘বড় ঘটনা’ এবং এ কারণে এর ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ যাচাই-বাছাই করতে এবং সাক্ষ্যগ্রহণে প্রায় আট বছর সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডের পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আসামিদের এখন গ্রেপ্তার করা হলেও, তদন্ত শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আমরা চাইনি কোনো নিরীহ মানুষকে আইনের আওতায় আনা হোক। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা মামলার তদন্ত করছি।’

তবে, মামলাগুলো আগের চেয়ে অনেক গতি পেয়েছে এবং তদন্ত যত শিগগির সম্ভব শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে এ কে এম হাফিজ বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজ হলো নাশকতা চালানো অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা। তদন্তে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যারা নাশকতা ও উস্কানিতে জড়িত ছিল, তাদের পুলিশ এখন কেবল হেফাজতে নিয়েছে।’

‘যারা দোষী নয়, তারা কোনো বাধা ছাড়াই বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন’, যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, এখন পর্যন্ত একজন নিরপরাধকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবের পর ৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ১৮টির অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে এবং দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। গত আট বছর ধরে ৬২টি মামলার তদন্ত স্থগিত আছে। চলতি বছর মার্চে হেফাজতের তাণ্ডবের পর ওই মামলাগুলোর তদন্ত আবার শুরু হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের সহিংসতার পর প্রায় ১৪৩টি মামলা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Singapore’s Financial Intelligence Unit seeks information on S Alam Group

The overseas assets of S Alam Group, including those in Singapore, came under scrutiny following recent media reports.

1h ago