শিল্প কারখানার বেপরোয়া পরিবেশ দূষণ অগ্রহণযোগ্য: গওহর রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, দেশের শিল্পকারখানা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি তাদের বেপরোয়া পরিবেশ দূষণের জন্য কোনো অজুহাত হতে পারে না।
প্রোমোটিং ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কালেক্টিভ অ্যাডভোকেসি ফর এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ইন ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, দেশের শিল্পকারখানা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি তাদের বেপরোয়া পরিবেশ দূষণের জন্য কোনো অজুহাত হতে পারে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘প্রোমোটিং ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কালেক্টিভ অ্যাডভোকেসি ফর এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ইন ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দূষণের বেশিরভাগই আসছে শিল্পকারখানা থেকে। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিটি কারখানায় ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন ও পরিচালনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা তা করছে না। এটি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য, সমাজের অংশ হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিবেশের দায় মেটানোর দাবি জানাতে পারি। এটা কেবলমাত্র লাভ ও উন্নতির বিষয় না। বরং সামাজিক দায়বদ্ধতারও বিষয়।’

ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি এবং কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনাল এর আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিস যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ড. রিজভী বলেন, 'শিল্পগুলোকে দূষণ থেকে বিরত রাখতে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেই এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উচিত দূষণকারীদের আর্থিক জরিমানা করা ও তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিবেশের জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই এই প্রসঙ্গে গুরুত্বারোপ করছেন এবং আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের অপেক্ষা না করেই পরিবেশের জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল গড়ে তুলেছেন।'

আদালতে জনস্বার্থে করা মামলা (পিআইএল) পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আদালত এ ব্যাপারে উদার মনোভাব পোষণ করছেন। তবে আইন প্রয়োগের জন্য আমাদের পিআইএল দরকার কেন হবে? আমাদের একটা বিষয় পরিষ্কার করতে হবে যে এভাবে প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কর্তব্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। আদালত কোনো আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করে থাকে। তাদের কর্তব্য তাদেরকে নিজে থেকেই পালন করতে হবে।’

ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের (বিপিআই) চেয়ারপারসন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে এবং কনসোর্টিয়াম লিড এবং বিপিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম এবং প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পিএআর) এর প্রধান মইনুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আতিকুল ইসলাম, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিসের ফরেন ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ হারবার্টসন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকি এবং ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক মার্ক ইয়াগি।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago