চীন বাংলাদেশে টিকা রপ্তানির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে জনগণকে বরাবরের মতোই আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার সব উৎস থেকেই করোনার টিকা সংগ্রহের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
চীনের সঙ্গেও ভ্যাকসিনের ব্যাপার কূটনৈতিক তৎপরতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। চীন সরকার আগামী ১০ থেকে ১২ মে’র মধ্যে উপহার হিসেব পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা বাংলাদেশে পাঠাবে। চীনের কাছে আরও ভ্যাকসিন চায় বাংলাদশ।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘চীন সরকার বর্তমানে বাংলাদেশে টিকা রপ্তানির বিষয়ে নীতিগত চিন্তা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা সংগ্রহের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে সরকার।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘অক্সফোর্ড টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে তিন কোটি টিকা সরবরাহের টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছি। এছাড়া ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই, যা আছে তা দ্বিতীয় ডোজের জন্য ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে সব উৎস থেকে করোনার টিকা সংগ্রহের সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা খুব শিগগির এ ব্যাপারে চুক্তি করতে চলেছি।’
এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘করোনার টিকা দেওয়া ছাড়া এ মহামারি উপশমের আর কোনও বিকল্প পথ নেই। তিনি জানান, ভারতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের সংকটের কারণেই সরকার অন্য দেশ থেকে অক্সফোর্ডের টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
অপরদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘বঙ্গভ্যাক্স’ ভ্যাকসিনকে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান ডা. এনামুর রহমান।
Comments