৫৪ হাজার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টের
নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় সারা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর জন্য ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রায় ২০টি অভিযোগের ওপর শুনানি করে এই আদেশ দেন। ২০১৯ সালে আদালতে এই আবেদনটি করেছিলেন দুই হাজারের বেশি যোগ্য প্রার্থী।
একইসঙ্গে আদালত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) আগামী সাত দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন সাপেক্ষে এনটিআরসিকে আগামী ১৮ মে’র মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দীন মো. হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ১৭ হাজার প্রার্থীর ১০০ এর মতো রিট আবেদন পর্যালোচনা করে সরকারকে যোগ্য প্রার্থীদের একটা তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকতার জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা করতে বলা হয়েছিল।'
ওই নির্দেশনা পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএকে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আদালত এনটিআরসিকে তালিকা তৈরির পর প্রার্থীদের সনদ দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত সনদের কার্যকারিতার কথা বলা হয়েছিল।
এনটিআরসিএ ওই আদেশ না মানায় প্রায় দুই হাজার প্রার্থী ২০১৯ সালে এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আদালত অবমাননার আরও ২০টির বেশি অভিযোগ দায়ের করেন। সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগ আলাদা আলাদা দিনে এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে আদালতের বিধি অবমাননার রুল দেন।
উচ্চ আদালতের এসব নির্দেশ না মেনেই গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার জন্য প্রায় ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আদালত অবমাননার এই আর্জি বিচারপতি মামনুন রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উঠলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক করে রেখেছিলেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
Comments