হারের পর হাসি-তামাশা, ক্ষমা চাইলেন হ্যাজার্ড
সমালোচনার তীব্রতা ভালোই টের পেলেন এডেন হ্যাজার্ড। তাই তো ক্ষমা চাইতে দেরি করেননি রিয়াল মাদ্রিদের এই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সট্রাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের মনে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তার।
একটু পেছনে ফেরা যাক। গত বুধবার রাতে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে হারে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তারা প্রতিযোগিতা থেকে গেছে ছিটকে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত পর টেলিভিশনের পর্দায় ফুটে ওঠে একটি দৃশ্য। হ্যাজার্ডকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় তার সাবেক দল চেলসির দুই ফুটবলার কার্ট জুমা ও এদুয়ার্দো মেন্দিকে। শুধু তা-ই নয়, তাদের সঙ্গে হাসি-তামাশাও করেন তিনি।
চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা হ্যাজার্ডের পারফরম্যান্স সেদিন ছিল হতশ্রী। তাছাড়া, হারের পরও চেলসির ফুটবলারদের সঙ্গে তার অমন হাস্যোজ্জ্বল আচরণ! রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত-সমর্থকদের খেপিয়ে দিতে আর কী লাগে?
হ্যাজার্ডের হাসাহাসির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওঠে সমালোচনার ঝড়। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে অনেক সাবেক খেলোয়াড়ের তোপের মুখেও পড়েন তিনি। তাকে ছেড়ে কথা বলেনি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমও। মার্কা তো তাদের একটি প্রতিবেদনের শিরোনামই করে, হ্যাজার্ড সেমিতে খেলার উপযুক্ত ছিলেন না।
পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে পড়ায় হ্যাজার্ড করেছেন দুঃখপ্রকাশ, ‘আমি দুঃখিত। আমাকে নিয়ে অনেক মতামত আমি পড়েছি আজকে এবং রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের আহত করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’
রিয়ালের সমর্থকদের আস্থা ও ভালোবাসা ফিরে পেতেই কিনা তিনি যোগ করেছেন, ‘আমার সবসময়ের স্বপ্ন ছিল রিয়ালের হয়ে খেলা এবং আমি এখানে জিততে এসেছি। মৌসুম এখনও শেষ হয়ে যায়নি এবং লা লিগার জন্য একসঙ্গে লড়ে যেতে হবে আমাদের।’
সাত মৌসুম চেলসিতে কাটিয়ে ২০১৯ সালে রিয়ালে যোগ দেন হ্যাজার্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে এখনও তার সেরাটা দেখা যায়নি বললেই চলে। গত মৌসুমের মতো এবারও তিনি চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন লম্বা সময়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রিয়াল। চার ম্যাচ বাকি থাকতে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে আছে তারা। আগের ৩৪ ম্যাচের মাত্র ১১টিতে মাঠে নামতে পেরেছেন হ্যাজার্ড। দুবার লক্ষ্যভেদ করলেও সতীর্থদের কোনো গোলে অবদান নেই তার।
Comments