নাটোরে আদালতের আদেশে ভরাট হচ্ছে অবৈধভাবে খনন করা পুকুর

নাটোরে খাসজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের পরে ভরাট করা হচ্ছে খনন করা পুকুর। গতকাল বৃহস্পতিবার নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে লালপুর উপজেলা প্রশাসন।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে খাসজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের পরে ভরাট করা হচ্ছে একটি পুকুর। গতকাল বৃহস্পতিবার নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে ওই পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে লালপুর উপজেলা প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খাস জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে আদালত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। যেহেতু খাস জমি দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছিল, সেজন্য খাস জমি উদ্ধার করে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।'

এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলশলিয়া এলাকায় সরকারি এক কর্মকর্তা ও তার পরিবার খাসজমি দখল করে পুকুর খনন করে।

বিষয়টি আদালতের নজরে এলে নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ বিষয়টির তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ইউএনও শরিফ আহম্মেদ ও তার পরিবার তাদের নিজ গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার ওই এলাকায় পানি প্রবাহের জন্য ব্রিজের সামনে সরকারি খাস জায়গা দখল করে পুকুর খনন করেন।

গত মঙ্গলবার পুকুর খননের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয় কৃষকরা। এ ঘটনায় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওসিকে তদন্তের আদেশ দিলে পুকুরটি ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পরদিন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা সার্ভেয়ারকে দিয়ে খননকৃত পুকুরটিকে সরকারি খাস জমি হিসেবে শনাক্ত করে ভরাট করার নির্দেশ দেন।

লালপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুকুর ভরাটের সময় স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে আদালতের বিচারকের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

যোগাযোগ করা হলে বাগমারার ইউএনও শরিফ আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের নিজেদের জমিতে পুকুর খনন করছিলেন আমার বাবা। আমাদের জমির পাশেই কিছু খাস জমি আমাদের দখলে ছিল। সেই জমিতে পুকুর খননের সময় আমাদের আত্মীয়রা আমাদের হেয় করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে।'

'পরে, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যারের নির্দেশে সেখানে খাস জমিতে খনন করা অংশ বন্ধ করে দেয়া হয়,' বলেন তিনি।

Comments