শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পার হচ্ছেন হাজারো যাত্রী
![Ferry.jpg Ferry.jpg](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ferry_0.jpg?itok=fVflxF94×tamp=1620389747)
রোজার ঈদকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পেয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন হাজারো যাত্রী।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফেরিগুলোতে করে পদ্মা পার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। পরিবহণ সংকটের কারণে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন তারা। রোজা রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র রোদের মধ্যে পদ্মা পার হতে অপেক্ষা করছেন তারা।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা আকলিমা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সেহেরি খেয়ে রওয়ানা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। এরপর ঘাটে এসে দেখি যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। বেলা ১২টা পর্যন্ত ফেরির কাছে যেতে পারিনি। রোজা রেখে তীব্র রোদের মধ্যে কষ্ট করতে হচ্ছে। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে এই কষ্ট মেনে নিতে হচ্ছে।’
শ্রমিক আওলাদ মিয়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে গেছেন। ঢাকায় কাজকর্ম নেই বলে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। ফেরিতে গাদাগাদি করেই যেতে হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাত হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ বলে ফেরিতে করেই যেতে হচ্ছে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আগেই চলে যাচ্ছি। কিন্তু, শিমুলিয়া ঘাটে এসে দেখি অনেক ভিড়।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরিতে কোনো গাড়ি যেতে পারেনি। সব যাত্রী ফেরিতে করে পদ্মা পার হয়েছেন। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ কমে যায়।
তিনি বলেন, ‘ভোরে পার হওয়ার অপেক্ষায় হাজারো গাড়ি ছিল। তবে, বিকালের দিকে ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি আছে। ধারাবাহিকভাবে এগুলো পার করা হচ্ছে।’
শিমুলিয়া ঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১৩টি ফেরিতে করে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সকালে যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলোতে যতগুলো গাড়ি লোড করার কথা ছিল তা করা যায়নি।
তিনি জানান, অন্যান্য নৌযান বন্ধ থাকায় ফেরিগুলোতে যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। ঘাটে যেসব যাত্রী ও যানবাহন আসছে সেগুলো সবই পার করা হচ্ছে।
Comments